ভোটের মুখেই জলবণ্টন নিয়ে তুলকালাম পঞ্জাবের রাজনীতিতে!
সুপ্রিম কোর্ট আজ জানিয়ে দিয়েছে, শতদ্রু নদীর জল নিয়ে হরিয়ানাকে বঞ্চিত করতে পারবে না পঞ্জাব। অর্থাৎ, শতদ্রু ও যমুনাকে যোগ করতে খাল কাটার কাজে তারা আপত্তি করতে পারবে না। কেন্দ্রীয় সরকারকে এই কাজ চালিয়ে যাওয়া কথাও বলেছে শীর্ষ আদালত। এর পরেই আদালতে রাজ্যের এই বিপর্যয়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদলকে দায়ী করে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ। আসন্ন নির্বাচনে রাজ্যে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রার্থী তিনি। এই ঘটনার জেরে পঞ্জাবের কংগ্রেস বিধায়করাও বিধানসভা স্পিকারের হাতে তাঁদের ইস্তফাপত্র তুলে দিয়েছেন।
জলবণ্টনের বিষয় নিয়ে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা— এই দুই রাজ্যের বিবাদ অনেক পুরনো। ২০০৪ সালেই পঞ্জাব বিধানসভা হরিয়ানাকে শতদ্রুর জল দিতে অস্বীকার করেছিল। এই নিয়ে একটি বিলও পাশ করে পঞ্জাব বিধানসভা। তারপরে শতদ্রু-যমুনা সংযুক্ত খাল নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। সেই সময় রাজ্যে কংগ্রেসের সরকার। পঞ্জাব বিধানসভার বিলটি রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের জন্য আসে। কিন্তু হরিয়ানার আপত্তির পরে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছে যায়।
গত সপ্তাহেই শতদ্রুর এই জল-বিতর্কে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদলের নিন্দা করেছে হরিয়ানা বিধানসভা। হরিয়ানার ক্ষোভ, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, শীর্ষ আদালত যদি জলবণ্টন নিয়ে পঞ্জাবের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনও রায় দেয়, তা হলে রাজ্য সরকার সেই রায় মেনে নেবে না। বাদলের এই অবস্থানের পরেই প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব আদালতে ব্যর্থতার জন্য পঞ্জাবের অকালি-বিজেপি জোট সরকারের ব্যর্থতাকে তুলে ধরতে তৎপর হয়েছে।