দিল্লির ঘন কুয়াশা এখনই কমছে না বলে গত সপ্তাহেই জানিয়ে দিয়েছিল বায়ুমণ্ডল নিয়ে কাজ করা এক মার্কিন সংস্থা।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদ রবিবার এক রিপোর্টে জানিয়েছে, এই নুহূর্তে ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন (এনসিআর)-এর প্রতি আড়াই মিটার ব্যাসে সর্বোচ্চ দূষণের মাত্রা ৩০০ ইউনিটেরও বেশি।
এরই সঙ্গে সোমবার সকালে দিল্লির বেশ কয়েকটি জায়গায় বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। যার জেরে সমস্যা কিছুটা কমেছে।
গতকাল রবিরার দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সতর্কবার্তা পাঠিয়ে এই অবস্থার দ্রুত সমাধান করার বার্তা পাঠিয়েছে।
দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ে দিল্লি সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রের তরজা অবশ্য বজায় রয়েছে।
সম্প্রতি ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) একটি উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করে। সেখানে দেখা গিয়েছে, ভারতের উত্তরাঞ্চল এবং পাকিস্তানে বায়ু দূষণের পরিমাণ অনেক বেশি।
জমিতে ফসল কেটে নেওয়ার পর জমিতে থেকে যাওয়া খড়কুটো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু, এই খড় পোড়ানোর কারণে তৈরি হওয়া ধোঁয়ায় ভারতের উত্তরাঞ্চল বিশেষ করে রাজধানী দিল্লির জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা।