আবগারি মন্ত্রী পরিমল শুক্ল বৈদ্য ঘোষণা করলেন অসমে শীঘ্রই বাড়ানো হবে মদের দোকান। ফাইল চিত্র।
দুর্গাপুজো, কালীপুজোয় রেকর্ড টাকার মদ বিক্রি হয়েছে অসমে। তার পরেই আবগারি মন্ত্রী পরিমল শুক্ল বৈদ্য ঘোষণা করলেন অসমে শীঘ্রই বাড়ানো হবে মদের দোকান। অবশ্য তাঁর দাবি, রাজস্ব সংগ্রহের উদ্দেশ্যে নয়, অরুণাচল থেকে আসা অবৈধ মদের মোকাবিলা করতেই নতুন নতুন মদের দোকানকে লাইসেন্স দেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে সমীক্ষা চলছে।
তিনি জনতাকে চোলাইয়ের বদলে ভাল মদ পান করারও পরামর্শ দেন। জানান, সব পানশালার লাইসেন্স মদের দোকান হিসেবে পরিবর্তিত হবে। পরিমল জানান, গত দেড় বছরে মাত্র ১০টি নতুন দোকানের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। গত অর্থবর্ষে মদ বিক্রি করে তিন হাজার কোটি টাকার রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছিল। তিনি বলেন, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যেখানে মদের দোকান নেই, সেখানে মানুষ চোলাই ও অস্বাস্থ্যকর মদ্যপান করেন। অরুণাচল থেকে আসা বেআইনি মদ দেদার বিক্রি হয়। তাতে স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি, রাজস্বেরও লোকসান হচ্ছে। মদ খেলে ভাল মদ খাওয়াই ভাল। বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর তৈরি মদও যাতে ভাল ভাবে বিক্রি করা যায় তার উদ্যোগ নেবে সরকার।
এ দিকে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে অসম তৃণমূলের মুখপাত্র দিলীপ শর্মা বলেন, মানুষকে মদ খাইয়ে রাজস্ব সংগ্রহ করার উদ্যোগ নিন্দনীয়। হিমন্তবিশ্ব শর্মার নেতৃত্বে চলা অসম সরকার এখন চরম আর্থিক সঙ্কটে চলছে। বিজেপি ভোটব্যাঙ্ক তৈরির স্বার্থে যে ভাবে ঢালাও প্রকল্প আনছে, মানুষকে টাকা দিচ্ছে- তার ফলেই রাজ্যের তহবিল শূন্য। রাজ্যের ধারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা। সেই টাকা জোগাড় করতে মদকেই হাতিয়ার করছে সরকার। কিন্তু সরকারের নতুন শিল্প স্থাপন করে, বিনিয়োগ এনে রাজস্ব বাড়ানো উচিত।