প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।
ভারত সম্পর্কে বিশ্বের এখনও অনেক ভুল ধারণা রয়েছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই বিশ্বের দরবারে ভারতকে আরও ভাল ভাবে উপস্থাপিত করার বিষয়টি নিয়ে আজ জাতীয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর্স পুরস্কার অনুষ্ঠানে সরব হলেন তিনি। এ বারই প্রথম বার এমন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে কেন্দ্র। বিরোধীদের অভিযোগ, সংবাদমাধ্যমের পরে এ বার সামাজিক মাধ্যমকেও ভোটের আগে কাছে টানতে তৎপর সরকার।
আজ সব মিলিয়ে প্রায় কুড়িটি বিভাগে বিজেতাদের পুরস্কার দেন মোদী। প্রাচীন ভারত যে ফ্যাশন সম্পর্কে রীতিমতো ওয়াকিবহাল ছিল, তা নিয়েও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। আজ ১৯ বছরের কন্টেন্ট নির্মাতা জাহ্নবী সিংহের হাত হেরিটেজ ফ্যাশন আইকন পুরস্কার তুলে দিতে গিয়ে মোদী মিনি স্কার্টের সঙ্গে কোনারকের সূর্য মন্দিরের গায়ে খোদিত ভাস্কর্যের তুলনা করেন তিনি। বললেন, ‘‘মিনি স্কার্টকে অনেকে আধুনিকতার চিহ্ন হিসাবে মনে করেন। কিন্তু কোনারকের মন্দিরের গায়ের ভাস্কর্যে মিনি স্কার্ট ও পার্সের নকশা পাবেন। বোঝা যায়, তৎকালীন সমাজ ও ভাস্কররা ফ্যাশন সম্পর্কে কতটা সচেতন ছিলেন।’’
ছোটবেলায় কী ভাবে ভিড় ট্রেনের অসংরক্ষিত কামরায় অন্য যাত্রীদের হাত দেখার ছল করে বসার স্থান জোগাড় করে নিতেন, সেই অভিজ্ঞতাও শোনান প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেসের নেতারা এ নিয়ে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন মোদীকে। কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনতে বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি একটি আসনের জন্য নকল জ্যোতিষী হতে পারেন, সেই ব্যক্তি ২৭২টি আসন জেতার জন্য কতটা নীচে নামতে পারেন, তা কল্পনা করে নিন।’’ এক বিজেপি নেতার পাল্টা, ‘‘জ্যোতিষী সেজে আসন জোগাড় করা প্রমাণ করে দেয়, মোদীজি কতটা উপস্থিত বুদ্ধি ধরেন।’’
আজ নিজের বক্তব্যে মূলত ভারতকে নতুন ভাবে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার উপরে জোর দিয়েছেন মোদী। তিনি বলেন, ভারত সম্পর্কে এখনও ভুল ধারণা রয়েছে বিশ্বের। এখনও অনেকের কাছে ভারত মানে সাধু-বাঘের দেশ। আজ উপস্থিত ব্যক্তিদের কাছে বিশ্বের দরবারে উন্নত ভারতের ছবি তুলে ধরার অনুরোধ করেন তিনি। নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, সদ্য আঠারোর পা দেওয়ারা যাতে ভোট দিতে লাইনে দাঁড়ান, তা নিশ্চিত করতে হবে। বিরোধীদের মতে, আসলে নতুন ভোটারদের গেরুয়া ছাতার তলায় টানতেই সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করতে চাইছেন মোদী।