জেএনইউতে দুর্গ ধরে রাখার পথে বামেরা। কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদের দখল নিতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সঙ্ঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। কিন্তু শেষ পাওয়া খবরে, এ বছরের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভাবে এগিয়ে রয়েছেন বাম প্রতিনিধিরা। উল্টে এবিভিপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ভোটের ময়দানে পাল্লা দিয়ে টক্কর দিচ্ছে দলিত ছাত্র সংগঠন বাপসা। পিছিয়ে রয়েছে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই-ও। গত কাল সন্ধ্যায় ভোট শেষের পরে রাত থেকেই শুরু হয় গণনার কাজ। আগামিকাল জানা যাবে চূড়ান্ত ফল।
দু’বছর আগে কানহাইয়া কাণ্ডের পর থেকে ছাত্র-রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে জেএনইউ। গত এক বছরে নজীব অহমেদ নিখোঁজ কাণ্ড রহস্য ঘিরে কখনও উত্তাল হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়, আবার কখনও প্রাক্তনীরা সরব হয়েছেন দেশাত্মবোধ জাগাতে ক্যাম্পাসে কারগিলের সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক রাখার উপচার্যের প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে। সব মিলিয়ে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি জেএনইউয়ের। এরই মধ্যে সরকার থেকে শুরু করে সঙ্ঘ পরিবার, সকলেই চেষ্টা করে গিয়েছে বাম শিবিরে সিঁধ কেটে ছাত্র সংসদের ক্ষমতা দখলে।
কিন্তু এ যাবৎ যে ভোট গোনা হয়েছে তাতে এবিভিপিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছেন এসএফআই-ডিএসএফ ও আইসার প্রতিনিধিদের নিয়ে গড়া বাম জোট। প্রাথমিক ফলাফলে জানা গিয়েছে সোশ্যাল সায়েন্স, ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ, ভাষা বিভাগের চারটি কাউন্সিলার সিট পেয়েছেন বামেরা। দলিত ছাত্রদের সংগঠন বাপসা পেয়েছে দু’টি আসন। অন্য দিকে পরিবেশ বিভাগে তিনটের মধ্যে দু’টি, লাইফ সায়েন্স বিভাগে তিনটির মধ্যে তিনটি ও বায়োটেকনোলজি ও সংস্কৃতি বিভাগে একটি করে আসন ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে এবিভিপি। সভাপতি, সহ-সভাপতি, সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদক— সব ক’টি পদেই বাম প্রার্থীরা এগিয়ে থাকলেও, যে ভাবে বাপসা প্রার্থীরা ভোট পাচ্ছেন তাতে বামেদের পক্ষে গত বারের ফলকে ধরে রাখা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের একটি বড় অংশ এ বার দলিত প্রার্থীদের পাশে দাঁড়ানোয় বাপসার ভোট বেড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।