মৌলানা আব্বাস আনসারি। ফাইল চিত্র।
২০১৯ সালের পরে এই প্রথম কাশ্মীরে হুরিয়ত নেতার শেষকৃত্যে শোভাযাত্রার অনুমতি দিল জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। দীর্ঘ অসুস্থতার পরে আজ মৃত্যু হয়েছে হুরিয়তের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও শিয়া সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট পণ্ডিত মৌলানা আব্বাস আনসারির। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে নরমপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিলেন আনসারি।
২০০৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে আলোচনা করতে দিল্লিতে যায় হুরিয়তের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেই দলের সদস্য ছিলেন আনসারি। তৎকালীন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণীর সঙ্গেও আলোচনা করেন তাঁরা। শ্রীনগর-মুজফ্ফরাবাদ বাসে পাকিস্তানও গিয়েছিলেন তিনি। আনসারি অল পার্টি হুরিয়ত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান থাকার সময়েই ভাগ হয়ে যায় হুরিয়ত। প্রয়াত সৈয়দ আলি শাহ গিলানি তাঁর আলাদা গোষ্ঠী তৈরি করেন।আজ আনসারির শেষকৃত্যে যোগ দেন শিয়া ও সুন্নি গোষ্ঠীর শ’য়ে শ’য়ে সদস্য। শ্রীনগরের জ়াডিবাল এলাকায় অন্ত্যেষ্টি হয় তাঁর।
নরমপন্থী হুরিয়তের নেতা মিরওয়াইজ় উমর ফারুককে অবশ্য অন্ত্যেষ্টিতে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। মিরওয়াইজ় গোষ্ঠীর তরফে দেওয়া বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ‘‘আরও অনেককে অন্ত্যেষ্টিতে যোগ দিতে দেয়নি প্রশাসন। আমরা এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করছি। জ়াডিবালে যেতে না দিয়ে প্রয়াত নেতার অনুগামীদের আলমগিরি বাজারে নমাজ পড়তে বলা হয়। তাতে তাঁদের ভাবাবেগে আরও আঘাত লেগেছে।’’মিরওয়াইজ় গোষ্ঠীর তরফে জানানো হয়েছে, আনসারি কাশ্মীরিদের ইচ্ছে অনুযায়ী কাশ্মীর সমস্যার সমাধানেরপক্ষে সওয়াল করেছেন। রাজনৈতিক অবস্থানের জন্য তাঁকে মূল্য দিতে হয়েছে। জেলে গিয়েছেন অনেক বার। মিরওয়াইজ় গোষ্ঠীর তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘শান্তিপূর্ণ উপায়ে কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে বিশ্বাস করতেন আনসারি। প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ী ও প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হবে বলে প্রচার চালিয়েছিলেন।’’