মার্মাগাঁওয়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রেডার, ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের মতো অত্যাধুনিক সব অস্ত্রও। ছবি : টুইটার।
নতুন যুদ্ধজাহাজের শক্তি পরীক্ষা করল ভারতীয় নৌসেনা। আর প্রথম পরীক্ষাতেই একেবারে পাখির চোখে আঘাত করল যুদ্ধজাহাজ আইএনএস মার্মাগাঁও।
শত্রুদেশের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী এই রণতরীর রবিবারই ছিল প্রথম পরীক্ষা। শব্দের চেয়ে তিন গুণ দ্রুতগতির ক্ষেপণাস্ত্রকে লক্ষ্যে পৌঁছনোর চ্যালেঞ্জ ছিল সামনে। মার্মাগাঁও প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেছে। তার নির্ভুল নিশানায় লক্ষ্যভেদ করেছে ব্রহ্মস। যদিও ভারতীয় নৌবাহিনীর নতুন রণতরীর এই শক্তি পরীক্ষাকে একরকম শক্তির আস্ফালন বা দাদাগিরি বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
ছ’মাস আগেই ভারতীয় নৌবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী মার্মাগাঁও। ভারতীয় নৌবাহিনীর ‘প্রজেক্ট ১৫বি’-র আওতায় মূলত দেশীয় প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি দ্বিতীয় রণতরী এটি। যা বানাতে খরচ হয়েছিল ৩৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
গত ডিসেম্বরে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এই রণতরীর উদ্বোধন করেছিলেন। সেই সময় নৌবাহিনী জানিয়েছিল, পারমাণবিক হামলা বা জৈব হামলা চালালেও এই রণতরীর কিছু হবে না। এ ছাড়াও এই যুদ্ধজাহাজে ছিল ৭০ কিমি মাঝারি পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ব্যবস্থা, টর্পেডো, রকেট লঞ্চার ও নানা ধরনের বন্দুক।
মার্মাগাঁওয়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রেডার, ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের মতো অত্যাধুনিক সব অস্ত্রও। ব্রহ্মস ২৯০ কিমি থেকে ৪৫০ কিমি পর্যন্ত দূরত্বে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে পারে। রবিবার সেই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পরীক্ষা ছিল। উৎক্ষেপণের পরীক্ষাটি কোথায় হয়েছে তা না জানালেও ভারতীয় নৌবাহিনীর ওয়েস্টার্ন নাভাল কম্যান্ড জানিয়েছে, এই পরীক্ষা হল সমুদ্রে ভারতীয় নৌবাহিনীর আগুনে উপস্থিতির প্রমাণ।