প্রতীকী চিত্র।
চাহিদা ও জোগানে ঘাটতি আগে থেকেই ছিল। করোনা কালে অঙ্গদানের সেই ঘটতি আরও বেড়েছে বলে দাবি করলেন এমস কর্তৃপক্ষ। মৃত ব্যক্তিদের অঙ্গদানের প্রশ্নে নানবিধ কুসংস্কার এর জন্য দায়ী বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।
অঙ্গদানের প্রশ্নে বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশের থেকে ভারত এখনও অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এর অন্যতম কারণ সচেতনার অভাব ও কুসংস্কারকেই দায়ী করেন এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। তাঁর কথায়, ‘‘সমাজে বিভিন্ন প্রচলিত ধারণা ও কুসংস্কার রয়েছে অঙ্গদান নিয়ে। অনেকে ধর্মের যুক্তি তুলে অঙ্গদানে পিছিয়ে যান। অনেকে ভাবেন, যে অঙ্গ মৃত ব্যক্তি দান করবেন, আগামী জন্মে সেই অঙ্গ ছাড়াই তাঁর জন্ম হবে।’’
এমসের পক্ষ থেকে মূলত ব্রেন ডেথ হওয়া চিকিৎসাধীন রোগীর পরিবারকেই অঙ্গদানের অনুরোধ করা হয়ে থাকে। গুলেরিয়ার কথায়, “বড় রোগীর আত্মীয়রা পিছিয়ে যান এই ভেবে যে, যদি রোগীর মস্তিষ্ক ফের সচল হয়ে যায়।” সেই কারণে আরও বেশি করে জনসচেতনা বাড়ানোর উপরে জোর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। ধর্মের গণ্ডি পেরিয়ে বৃহত্তর স্বার্থে তিনি অঙ্গদানের উপর জোর দিয়েছেন।
দেশে অঙ্গদানের সংখ্যা বাড়াতে সিআরপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এমসের মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর বিশ্বনাথ আচারিয়া বলেন, ‘‘ওই বাহিনীর পক্ষ থেকে অঙ্গদানের ৭৯,৭৫২টি অঙ্গীকারপত্র জমা পড়েছে। বর্তমানে এমসে হার্ট, কিডনি, যকৃৎ, কর্নিয়া, হার্টের ভাল্ভ ও হাড়ের প্রতিস্থাপন করা হয়। খুব শীঘ্রই এমসে ফুসফুস প্রতিস্থাপন শুরু হবে।’’ চিকিৎসকদের মতে, করোনা অতিমারির কারণে এ বছরে অঙ্গ সংগ্রহ আগের চেয়ে কম হয়েছে। তাঁদের আশা, অতিমারি কেটে গেলেই এই সংখ্যা বাড়বে।