প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
নতুন লগ্নি, কারখানা তৈরি বা ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রায় ৬ হাজার শর্তপূরণের বাধ্যবাধকতা তুলে দিতে চায় মোদী সরকার। শিল্পমহলের সঙ্গে বাজেট নিয়ে আলোচনার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নিজেই জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের প্রচেষ্টা হল শিল্প সংস্থাগুলির উপর থেকে ৬ হাজার নিয়ম পালনের বোঝা কমিয়ে ফেলা। শিল্প সংস্থাগুলি নিজেরাই নিয়ম পালন করবে, নিয়ম পালন করা হয়েছে বলে জানিয়ে দেবে—আগামী দিনে এই রকমই ব্যবস্থা তৈরি হবে।’’
কোভিড-বিধ্বস্ত অর্থনীতি চাঙ্গা করতে বাজেটে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে উৎসাহ ভাতা দেওয়ার ঘোষণা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, আগামী পাঁচ বছরে ২ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হবে। এবং এর একটি টাকার দায়ও করদাতাদের উপরে চাপানো হবে না। মানুষের কাছ থেকে টাকা না-তুলে রাজস্ব থেকে এবং ধার করে ওই উৎসাহ ভাতার সংস্থান করবে সরকার। প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে শিল্পমহলের সঙ্গে আলোচনায় বলেন, ‘‘আমাদের আশা, এই প্রকল্পের ফলে আগামী পাঁচ বছরে ৫২ হাজার কোটি ডলার মূল্যের উৎপাদন বাড়বে।’’
নীতি আয়োগ সূত্রের বক্তব্য, কোথায় ব্যবসা করা কতটা সহজ, এ নিয়ে বিশ্ব ব্যাঙ্কের তালিকায় ভারতের অনেকখানি উন্নতি হয়েছে মোদী সরকারের আমলে। ২০১৪-য় ছিল ১৪২-এ। ২০১৯-এ ৬৩তম স্থানে উঠে এসেছে ভারত। কিন্তু এখনও চুক্তি কার্যকর করা, সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশন, আন্তর্জাতিক লেনদেন ও ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে লাল ফিতের ফাঁসের নিরিখে ভারত পিছিয়ে। কেন্দ্রে শুধু নয়, রাজ্যেও নানা অনুমতি, নিয়ম পালন করতে হয় ব্যবসায়িক সংস্থাগুলিকে। নীতি আয়োগের তরফে ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে অপ্রয়োজনীয় নিয়মবিধিগুলি চিহ্নিত করতে। প্রধানমন্ত্রী আজ বলেন, “উৎসাহ ভাতা দেওয়ার জন্য ১৩টি ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অটোমোবাইল, ওষুধ শিল্পে দেশে উৎপাদন বাড়লে বিদেশের উপর নির্ভরতা কমে যাবে। তথ্যপ্রযুক্তির হার্ডওয়্যার ও টেলিযোগাযোগ যন্ত্রাংশেও বিপুল উৎপাদন বাড়বে উৎসাহ ভাতা পেলে। শুধু এই দু’টি ক্ষেত্র থেকেই প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার পণ্য রফতানি হবে।”