গুজরাতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পি ভারতী
আগামী চার মাসের মধ্যে গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে। খসড়া ভোটার তালিকা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় সেই তালিকায় আরও প্রায় ৫০ লক্ষ ভোটার নথিভুক্ত হয়েছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় আরও তিন-চার লক্ষ ভোটার বাড়তে পারে বলে মনে করছেন গুজরাতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পি ভারতী। তবে তাঁর বক্তব্য, ১৮-১৯ বছর বয়সিদের পুরুষ-মহিলা ভোটারের অনুপাত অনেক কম। নানা কারণে ভোটার তালিকায় নথিভুক্ত হচ্ছে না সদ্য প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের নাম।
গত ১২ অগস্ট খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে গুজরাতে। ভারতী জানান, ওই তালিকায় ৪.৮৩ কোটি ভোটারের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ২.৫ কোটি এবং মহিলা ভোটার ২.৩৩ কোটি। চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে ১০ অক্টোবর। তবে ১৮-১৯ বছর বয়সি ভোটারদের সংখ্যা অনেক কম। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘‘১৮-১৯ বছর বয়সি ভোটারের সংখ্যা মোট ভোটারের ৩.৬৬ শতাংশ হওয়া উচিত। কিন্তু বর্তমানে তা ১ শতাংশে দাঁড়িয়ে।’’
নতুন ভোটারের হার শুধু কমই নয়, তাঁদের মধ্যে পুরুষ ও মহিলার অনুপাতও ভীষণই কম বলে জানালেন ভারতী। তাঁর কথায়, ‘‘জনগণনা অনুযায়ী, পুরুষ-মহিলার অনুপাত ১০০০:৯১৮। ভোটার তালিকার নিরিখে অনুপাত ১০০০:৯৩৪। কিন্তু ১৮-১৯ বছর বয়সিদের মধ্যে পুরুষ-মহিলার অনুপাত ১০০০:৬৬০। অর্থাৎ হাজার পুরুষ পিছু মহিলা ৬৬০। আসলে কমবয়সি মেয়েদের নাম নথিভুক্ত হচ্ছে না। যে সব জেলায় নতুন ভোটারদের মধ্যে পুরুষ-মহিলার অনুপাত সব চেয়ে কম, তার মধ্যে রয়েছে বানসকণ্ঠ, গাঁধীনগর, আমদাবাদ, আনন্দ।’’
কিন্তু কেন কমবয়সি ভোটাদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা কমছে, তার ব্যাখ্যা মিলল না। কাদের গাফিলতির কারণে ভোটার তালিকায় সদ্য প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের নাম কম নথিভুক্ত হচ্ছে, তা-ও স্পষ্ট হল না রাজ্য নির্বাচন কমিশনার বক্তব্যে।