প্রতীকী ছবি।
প্রথমে করোনার কারণে চিন। পরবর্তী সময়ে যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন। অতিমারি কিংবা যুদ্ধের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে পাঠ্যক্রম শেষ করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি ঝুঁকেছে অনলাইন পড়ানোয়। কিন্তু ভারত সরকার কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে এ ধরনের অনলাইন শিক্ষাকে মান্যতা না দেওয়ায় প্রশ্নের মুখে বড় সংখ্যক বিদেশ পাঠরত ভারতীয় পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ।
আন্তর্জাতিক অস্থিরতার কারণে দু’বছরের বেশি সময় ধরে বিপাকে পড়েছেন বিদেশে পড়তে যাওয়া ভারতীয় পড়ুয়ারা। সেই কারণে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই) নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে মিল রয়েছে এমন দেশের পাঠ্যক্রমকেই বেছে নিক বাইরে পড়তে যাওয়া পড়ুয়ারা।
যাতে পাঠ্যক্রম অর্ধেক শেষ করে ভারতে ফিরে এলেও এ দেশে বাকি পড়া শেষ করার সুযোগ পাওয়া যায়। ইউজিসির চেয়ারম্যান এম জগদেশ কুমারের কথায়, ‘‘যাঁরা চিনে পড়তে গিয়েছিলেন, তাঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি করোনার কারণে এখন পাঠ্যক্রম শেষ করানোর জন্য অনলাইন ব্যবস্থাকেই হাতিয়ার করেছে। কিন্তু সমস্যা হল, বেশ কিছু বিষয় এমন রয়েছে যার অনলাইনে পড়াশোনা ভারতে স্বীকৃত নয়।’’ ফলে অনলাইনে পড়েও আখেরে পড়ুয়াদের লাভের চেয়ে, উল্টে বছর নষ্টের আশঙ্কা করছেন ইউজিসি কর্তৃপক্ষ। ভবিষ্যতে ওই সমস্যা দূর করতে ভারতের পাঠ্যক্রমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রয়েছে এমন বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার প্রশ্নে সওয়াল করা হয়েছে। যাতে ওই সব দেশে সমস্যা তৈরি হলে সম-পাঠ্যক্রম হওয়ার সুবাদে এ দেশে বাকি পাঠ্যক্রম শেষ করার সুযোগ পান পড়ুয়ারা।