সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
বাজেয়াপ্ত নথি অভিযুক্তকে না দেওয়া নিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) শীর্ষ কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল। আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্তের জামিনের জন্য প্রাক্-বিচার পর্বে সুনির্দিষ্ট ও পর্যাপ্ত নথি চেয়েও না পাওয়া সংক্রান্ত একটি মামলার শুনাছিল ছিল আজ। তাতে বিচারপতি অভয় এস ওক, বিচারপতি আসাদুদ্দিন আমানুল্লা ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মসিহর বেঞ্চের প্রশ্ন, অভিযুক্তের সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে নির্দিষ্ট মৌলিক অধিকার কি এ ক্ষেত্রে খর্ব হয় না? স্বচ্ছ বিচারের জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধির ৯১ নম্বর ধারা প্রশস্ত দৃষ্টিতে দেখার কথা বলেছে বেঞ্চ।
ইডির তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু কোর্টে বলেন, নথির কথা অভিযুক্তের জানা থাকলে তিনি তা চাইতে পারেন। কিন্তু যদি না জানা থাকে, তিনি স্রেফ আন্দাজে অপ্রাসঙ্গিক দাবি করতে পারেন না। বিচারপতি ওকের পর্যবেক্ষণ, আর্থিক অপরাধ দমন মামলায় (পিএমএলএ) ইডি হাজার হাজার নথি উদ্ধার করে। তার পরে নির্ভর করে শুধু কয়েকটির উপরে। সমস্ত নথির কথা অভিযুক্তের মনে না-ও থাকতে পারে। ফলে তিনি তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া যাবতীয় নথিই চাইতে পারেন।
অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের বক্তব্য, অভিযুক্তের কাছে বাজেয়াপ্ত নথির তালিকা থাকে। সুতরাং ‘জরুরি’ এবং ‘বাঞ্ছিত’ ছাড়া যে কোনও নথিই তিনি চাইতে পারেন না। কোর্টের প্রশ্ন, নথি ‘জরুরি’ কি না, সেটা না দেখে অভিযুক্ত বুঝবেনই বা কী করে?
রাজুর বক্তব্য, অভিযুক্ত নথি যাচাইয়ের দাবি চাইলেই করতে পারেন।
বিচারপতি ওকের পর্যবেক্ষণ, সময় বদলাচ্ছে। গুরুতর মামলাতেও অনেক সময় জামিন মিলছে। এ দিকে অনেকে ম্যাজিস্ট্রেট স্তরের মামলাতেও জামিন পাচ্ছেন না। কোর্ট বা তদন্তকারী সংস্থা সংরক্ষিত তকমা দিয়ে নথি নিয়ে এখন আর অনড় থাকতে পারে না বলে পর্যবেক্ষণ শীর্ষ কোর্টের। শুনানির শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছে সর্বোচ্চ আদালত।