Patna Murder Case

বিহারের হাসপাতালে অধিকর্তার ঘরে ঢুকে তাঁকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা! চাঞ্চল্য

শনিবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ তারা খবর পায় হাসপাতালের মধ্যে গুলিতে জখম হয়েছেন মহিলা অধিকর্তা। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। গুলিবিদ্ধ সুরভীকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পটনা এমসে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাঁকে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫ ১১:৩৯
Share:
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কিছু ক্ষণ আগেও শিক্ষানবিশ দুই চিকিৎসকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন হাসপাতালের অধিকর্তা। অনেক ক্ষণ অফিস থেকে বেরোচ্ছেন না দেখে এক কর্মী গিয়েছিলেন অধিকর্তার ঘরে। ঢুকেই চমকে গেলেন তিনি। দেখেন মহিলা ওই অধিকর্তা রক্তাক্ত অবস্থায় চেয়ারে পড়ে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু হয়েছিল তাঁর। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানান মৃত্যু হয়েছে সুরভী রাজ নামে হাসপাতালের ওই অধিকর্তার। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পটনায়।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ তারা খবর পায় হাসপাতালের মধ্যে গুলিতে জখম হয়েছেন মহিলা অধিকর্তা। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। গুলিবিদ্ধ সুরভীকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পটনা এমসে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাঁকে। কিন্তু কে সুরভীকে গুলি করে খুন করেছেন, কারা তাঁর কেবিনে ঢুকে ওই কাজ করে আবার চলেও গেলেন, তা নিয়ে রহস্য রয়েছে। ইতিমধ্যে হাসপাতালের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের।

জানা যাচ্ছে, সুরভী হাসপাতালের ট্রেনিং সংক্রান্ত বৈঠক করেছেন। দুপুর আড়াইটে নাগাদ দুই শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের তিনি আলোচনা করেন। পরে তাঁদের বাইরে একটি ঘরে অপেক্ষা করতে বলা হয়। ওই দুই শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের মধ্যে একজনের কথায়, ‘‘আমরা একটি ঘরে বসে হাসিঠাট্টা করছিলাম। হঠাৎ শব্দ শুনতে পাই। পাশের ঘরে ঢুকে দেখি ম্যাডাম রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে।’’ তবে হাসপাতালের আর এক কর্মী জানাচ্ছেন, গুলির শব্দ তিনি পাননি।

Advertisement

হাসপাতালের সূত্রে খবর, একাধিক গুলির ক্ষত রয়েছে সুরভীর রয়েছে। কে বা কারা তাঁকে খুন করতে পারে, তা নিয়ে কেউ কোনও ইঙ্গিত দিতে পারেননি। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগও করেননি। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement