মাটি পড়ে কর্দমাক্ত রাস্তা পরিষ্কার করছেন গ্রামবাসীরা। দেগঙ্গার জীবনপুর কলসুর রোডে। ছবি: সুদীপ ঘোষ।
মাটি কেটে ‘পাচারের’ সময়ে ছড়িয়ে পড়ছে পথে। গত দু’দিনের হালকা বৃষ্টিতে তার জেরে দেগঙ্গা থানা এলাকার বেশ কিছু ব্যস্ত রাস্তায় কার্যত ‘মরণফাঁদ’ তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, মাটি পড়ে পাকা রাস্তা পিছল হয়ে যাওয়ায় ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বারাসত ১ ও ২ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত শ’তিনেক ইটভাটা রয়েছে। দেগঙ্গার চাকলা, চৌরাশি, দেগঙ্গা ১ ও ২ পঞ্চায়েত, আমুলিয়া, সোহাই, কলসুর পঞ্চায়েত-সহ নানা পঞ্চায়েত এলাকা থেকে ওই ইটভাটাগুলিতে মাটি যায়। অভিযোগ, চাষের জমি থেকে বেআইনি ভাবে মাটি কেটে ওই ইটভাটায় পাচার করা হয়। সে সময়েই মাটির দলা রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। স্থানীয় মানুষ জানাচ্ছেন, দেগঙ্গা থানার ঘোষালের আবাদ এলাকায় চাষের জমি থেকে বেআইনি ভাবে মাটি কেটে পাচার করা হচ্ছে। সেই মাটি পড়ে বেহাল গোবর্ধনপুর বাজার থেকে ঘোষালের আবাদ যাওয়ার পাকা রাস্তা। এত মাটি পড়ে জমা হয়েছে যে সেটা পাকা রাস্তা বলে মনেই হচ্ছে না!
একই ভাবে চৌরাশি পঞ্চায়েতের নসিমপুর এবং পাশের কলসুর পঞ্চায়েত এলাকা থেকে যাওয়া মাটি রাস্তায় পড়ে বেহাল জীবনপুর-কলসুর রাস্তা। শনিবারের বৃষ্টিতে রাস্তা কর্দমাক্ত হওয়ায় সাইকেল ও হেঁটে যাতায়াত করতে ভয় পাচ্ছেন মানুষজন। অনেকেই সাইকেল ও বাইক নিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে পিছলে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন বলে অভিযোগ।
ঘোষালের আবাদ ও জীবনপুর কলসুর রোড ছাড়াও বেআইনি মাটি পাচারের ফলে দেগঙ্গার মুক্তারপুর, আমুলিয়া, গোঁসাইপুর-সহ অন্য এলাকার রাস্তারও একই অবস্থা। স্থানীয় বাসিন্দা নূর আলম, সোহেল মণ্ডল, আরাফাত হোসেন বলেন, ‘‘মাটি পাচারের গাড়ির জন্য রাস্তায় সারা বছর দুর্ঘটনা ঘটে। এখন আবার মাটি পড়ে রাস্তা পিছল হয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে।’’ দেগঙ্গার বিডিও ফাহিম আলম বলেন, ‘‘বেআইনি ভাবে মাটি কাটার অভিযোগ পেলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করছি। গাড়ি বাজেয়াপ্ত করছি। নতুন করে কোনও অভিযোগ পেলে পদক্ষেপ করা হবে।’’