K Chandrasekhar Rao's Daughter Summoned By ED

তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর কন্যাকে সমন ইডির, দিল্লির মদকাণ্ডে যুক্ত! কেন নজরে বিআরএস নেত্রী কবিতা

দিল্লির আবগারি দুর্নীতির তদন্তে বিআরএস নেত্রী কে কবিতার নাম প্রকাশ্যে আসে মণীশ সিসৌদিয়া ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর গ্রেফতারির পর। কবিতার ফোনের আইএমইআই নম্বর বদল নিয়েও তদন্ত হয়েছিল আগে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৩ ১০:৪২
Share:

তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা কে কবিতা। ফাইল চিত্র।

দিল্লির মদ-কাণ্ডে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী, কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যাকে জেরা করতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, চন্দ্রশেখরের কন্যা তথা তেলঙ্গানার শাসক দল বিআরএসের নেত্রী, কে কবিতাকে বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৯ মার্চের মধ্যে রাজধানী দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। ওই সূত্রেই জানা গিয়েছে, দিল্লির মদকাণ্ডে মঙ্গলবার গ্রেফতার হওয়া এক হায়দরাবাদের ব্যবসায়ীর বিষয়ে প্রশ্ন করা হতে পারে কবিতাকে। ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দিল্লির আম আদমি পার্টি (আপ)-এর নেতাদের ১০০ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ইডির অভিযোগ অনুযায়ী, যে অর্থ কাজে লাগানো হয়েছে গোয়ায় আপের নির্বাচনী প্রচারে।

Advertisement

দিল্লিতে মদের ব্যবসার অনুমোদন সংক্রান্ত দুর্নীতির তদন্তে কবিতার নাম এর আগেও প্রকাশ্যে এসেছিল। গত ডিসেম্বরে যখন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা মদ সংক্রান্ত নীতির ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসাবে অমিত আরোরা নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছিল ইডি, তখনই তারা জানতে পারে এই মামলায় যুক্ত রয়েছেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা কবিতাও। এ ব্যাপারে পরবর্তী কালে তদন্ত এগোলে এ-ও জানা যায় যে, কবিতার দু’টি ফোনে অন্তত ১০ বার আন্তর্জাতিক মোবাইল ইক্যুইপমেন্ট পরিচিতি বদলানো হয়েছে। সেই সময়ে অর্থাৎ ডিসেম্বরেই কবিতাকে জেরা করেছিল দিল্লিমদ কাণ্ডের আরও এক তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। পরে ইডিও তাঁদের অভিযোগ পত্রে কবিতার নাম উল্লেখ করলে এ নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেছিলেন চন্দ্রশেখর-কন্যা। তিনি বলেছিলেন, বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে সস্তার চাল চালছে কেন্দ্রীয় শাসক দল।

তবে বৃহস্পতিবার যে কারণে কবিতাকে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি, তার সঙ্গে অমিতের সম্পর্ক নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। বুধবার কবিতাকে সমনের নোটিস পাঠানো হয়ছিল। তার আগের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবারই হায়দরাবাদের ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ইডি। অরুণ রামচরণ পিল্লাই নামের ওই ব্যবসায়ীর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রেই কবিতাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।

Advertisement

দিল্লি মদ কাণ্ডে যে মদ ব্যবসায়ী সংস্থাগুলিতে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে দক্ষিণ ভারতীয় সংস্থাগুলির প্রতিনিধি ছিলেন অরুণ। তবে হায়দরাবাদের এই ব্যবসায়ীর সঙ্গে তেলঙ্গনার শাসকদল বিআরএসের নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা কী ভাবে জড়িত, তা অবশ্য বৃহস্পতি বারের পরেই জানা যাবে বলে অনুমান।

দিল্লি মদ কাণ্ডে সুবিধাপ্রাপ্ত মদ ব্যবসায়ী সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেই অরুণের নাম জানতে পারে ইডি। গত ২ মার্চ আমনদীপ ঢল নামের এক মদ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আমনদীপের কাছেই ইডির গোয়েন্দারা জানতে পারেন অরুণের নাম। পাঁচদিনের মাথায় মঙ্গলবার গ্রেফতারও করেন অরুণকে। তাঁকে নিয়ে দিল্লি মদ কাণ্ডে মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করল ইডি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement