ফাইল চিত্র।
বিক্ষিপ্ত হিংসা, পুলিশকর্মীর উপরে আক্রমণ, সংবাদমাধ্যমের উপরে হামলা, ইভিএম নিয়ে অভিযোগের মধ্যেই মিটল ত্রিপুরায় চারটি আসনে উপনির্বাচন। আর এই ভোট নিয়ে দিনভর চলল শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে চাপান-উতোর। বিরোধীরা বিজেপির বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ তুললেও তা মানতে নারাজ শাসক শিবির। দিনের শেষে কমিশন জানাল, ভোট পড়েছে প্রায় ৭৮ শতাংশ।
এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ ৮ টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্রের প্রার্থী মানিক সাহা বুথ সেন্টার ঘুরে জানান শান্তিপূর্ণ ভাবে গণতন্ত্র মেনেই ভোট হচ্ছে। কোথাও কোনও অশান্তির খবর জানা নেই। এর কিছু ক্ষণ পরেই ৬নং বিধানসভা কেন্দ্রের একটি এলাকায় ভোট দিতে যাওয়ার পথে সমীর সাহা নামে এক জন পুলিশকর্মী ছুরিকাহত হন। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু কুমার দেববর্মা বলেন, ‘‘এমন ধরনের কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটে। আজ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন হয়েছে বলে শোনা যায়নি।’’
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানান বিরোধী নেতারা। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম-সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কেউ প্রতিবাদ করতে চাইলে তাঁকে দমন করা হচ্ছে। ত্রিপুরায় এটা দেখা গিয়েছে। নির্বাচনের নামে অত্যাচার চলছে।’’ ফিরহাদ বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় বিজেপি যা করছে, এর পরে ভারতের মানুষ শঙ্কিত হয়ে যাবেন যে, দেশে আর গণতন্ত্র থাকবে কি না!’’
উপনির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী সুদীপ রায়বর্মন বলেন, ‘‘আজ বিজেপি গনতন্ত্রের নামে কলঙ্ক রচনা করেছে। অবাধ ভোটের নামে ভোট লুট করা হচ্ছে।’’
সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী জানান, বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর যদি বিন্দুমাত্র রাজনৈতিক নৈতিকতা থাকে উপনির্বাচনের বিভিন্ন অনিয়মের দায় নিয়ে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।