গাজিপুরের পর উত্তর-পশ্চিম দিল্লির ভালসওয়া এলাকা দিল্লির পরিবেশ আরও দূষিত করে তুলছে। —ফাইল চিত্র।
কোনওটির উচ্চতা ৬৫ মিটার আবার কোনওটির উচ্চতা ৬২ মিটার। রাজধানীতে এ রকম ৩ হাজারেরও বেশি জঞ্জালের পাহাড় গড়ে উঠেছে। পরিবেশ দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের উপর এর সাংঘাতিক প্রভাব পড়ছে। গাজিপুরের পর উত্তর-পশ্চিম দিল্লির ভালসওয়া এলাকা দিল্লির পরিবেশ আরও দূষিত করে তুলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন যে, ‘ক্লিন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের মাধ্যমে এই এলাকাগুলিকে ‘গ্রিন জ়োন’-এ পরিণত করা হবে। কিন্তু এখনও তা করা হয়নি। বরং দিনের পর দিন ভালসওয়া এলাকায় জঞ্জালের পরিমাণ বেড়েছে। এর ফলে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন দিল্লিবাসী।
এলাকার আশপাশে প্রায় ২ লক্ষ বাসিন্দা থাকেন। তাঁদের অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই জঞ্জালে আগুন ধরে যায়। ধোঁয়ায় শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা হয়। এলাকায় যে জল পাওয়া যায়, তার রং হালকা লাল। স্নানের জন্য ওই জল ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতি হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এই এলাকাগুলি থেকে যে পরিমাণ মিথেন গ্যাস নির্গত হয়, তা-ও পরিবেশের পক্ষে সমান ক্ষতিকর।
মাঝেমধ্যেই এই এলাকার উপর দিয়ে ড্রোন উড়িয়ে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়। কিন্তু পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি বলে জানান ভালসওয়ার বাসিন্দা। এর প্রভাব যে শুধু ওই এলাকার বাসিন্দাদের উপর পড়ছে, তা নয়। সমগ্র দিল্লিবাসীর জীবন এর ফলে সঙ্কটের মুখে। যত দ্রুত সম্ভব, জঞ্জাল পরিষ্কার করে ওই এলাকাগুলি ‘গ্রিন জ়োন’-এ পরিণত করা প্রয়োজন। না হলে ক্রমশ বাতাসে মিথেনের পরিমাণ বাড়ার ফলে তা সার্বিক ভাবে পরিবেশ আরও দূষিত করে তুলবে।