নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলচর
টানটান উত্তেজনায় বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচন হল শিলচরে। মাত্র ১ ভোটের ব্যবধানে শহর কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন দীপায়ন চক্রবর্তী। গোপাল রায় পেয়েছেন ৫২ ভোট, দীপায়ন ৫৩ ভোট। ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অভিজিত ভট্টাচার্যের ঝুলিতে ছিল শুধুমাত্র তাঁর নিজের ভোটটি। ১০৮টি বুথ কমিটির সভাপতি আজ তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে ২টি ভোট বাতিল হয়।
দীপায়ন চক্রবর্তী ও গোপাল রায়ের মধ্যে শিলচর শহর কমিটির সভাপতির জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও মূলত লড়াই ছিল ডেপুটি স্পিকার দিলীপকুমার পাল ও রাজ্য সাংগঠনিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার রাজদীপ রায়ের মধ্যে। গোপালবাবুকে জেতাতে ডেপুটি স্পিকার আদাজল খেয়ে মাঠে নামেন। তাঁর বিরুদ্ধে ভোটারদের ভোজসভায় আমন্ত্রণেরও অভিযোগও ওঠে। শেষ পর্যন্ত গোপালবাবু পরাস্ত হওয়ায় মাত্র দেড় মাস আগে ডেপুটি স্পিকার পদে নির্বাচিত দিলীপকুমার পাল সাংগঠনিক স্তরে সামান্য হলেও ধাক্কা খেলেন। দিলীপবাবু অবশ্য দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হননি। রাজদীপ রায় বলেন, ৫৩-৫২ ভোটের ফলাফলে স্পষ্ট, দু’জনেরই গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। গোষ্ঠীবাজির কথা বলে লাভ নেই, দুই জনকেই কাজে লাগাতে হবে।
বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচন ঘিরে বরাকের রাজনীতি সরগরম। শাসক দল বলে গোষ্ঠী-উপগোষ্ঠীগত বিরোধও ক্রমে বাড়ছে। শিলচর ছাড়াও আজ নির্বাচন হয় লক্ষ্মীপুর এবং বিন্নাকান্দি ব্লক কমিটির। নেতাদের একাংশ সর্বসম্মত সভাপতি মনোনয়নের জন্য দিনরাত চেষ্টা করেও সফল হননি। সব জায়গাতেই ব্যালট পেপারের সাহায্য নিতে হয়। লক্ষ্মীপুরে সভাপতি পদের জন্য কাল পর্যন্ত চার দাবিদার ছিলেন। ভোটাভুটির সময় এগোতেই তা দুইয়ে নেমে আসে। নন্দকিশোর সিংহ ও অভিরাম শর্মা লড়াই থেকে সরে দাঁড়ান। শেষ পর্যন্ত ৩৭-২৯ ভোটে বাপ্পা সেনকে পরাস্ত করেন সঞ্জয় ঠাকুর। সঞ্জয়কে ঠেকানোর উদ্দেশেই নন্দকিশোর ও অভিরামকে বসিয়ে লড়াই সরাসরি করা হয়েছিল। এরপরও সভাপতি নির্বাচিত হন তরুণ আইনজীবী সঞ্জয় ঠাকুরই।
বিন্নাকান্দিতে সভাপতি পদে জহর ঘোষ পুনর্নির্বাচিত হন। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনড় থাকেন। জহরবাবু পান ১৯ ভোট। বিদ্যাপতি সিংহ ১২, রাজকিশোর সিংহ ১১ ও চন্দ্রিকা গোয়ালা পান ১০টি ভোট।