ত্রিপুরার দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়ায় সিপিএম ও বিজেপির মধ্যে দফায় দফায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের কয়েকটি এলাকাকে ‘উপদ্রুত’ ঘোষণা করতে কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়েছেন প্রদেশ বিজেপি নেতৃত্ব। দু’দিন ধরে রাজনৈতিক ঝামেলার জেরে দু’দলের কয়েক জন আহত হয়েছেন। প্রশাসন বিলোনিয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাতে। বিজেপির অভিযোগ, দলীয় পতাকা লাগানো নিয়ে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে তাদের দলের লোকেদের বচসা বাধে। বিজেপির পতাকা লাগাতে বাধা দেওয়া হয়। সিপিএমের অভিযোগ, বিজেপির নেতা-সদস্যরা অস্ত্র নিয়ে বাম সমর্থকদের উপর হামলা চালান। বিলোনিয়ায় সিপিএমের মহকুমা সম্পাদক তাপস দত্তের অভিযোগ, জেলায় মাফিয়াদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপি সন্ত্রাস চালাচ্ছে। বিজেপির সহ-সভাপতি সুবল ভৌমিকের নেতৃত্বে সিপিএম অফিসে হামলা চালানো হয়। অভিযোগ উড়িয়ে সুবলবাবু বলেন, ‘‘সিপিএম পরিকল্পিত ভাবে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালাচ্ছে।’’ এ সবের পিছনে তাপসবাবুর মদত রয়েছে বলেও তাঁর দাবি। সুবলবাবু জানান, প্রদেশ বিজেপি সভাপতি বিপ্লব দেব এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে নয়াদিল্লি গিয়েছেন।
বিজেপির দিকে তোপ দেগেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর। সোমবার সন্ধেয় সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যে সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। নির্বাচনে বামফ্রন্টকে পরাজিত করতে পারবে না বুঝতে পেরে এ সব করা হচ্ছে।’’ তিনি দাবি করেন, ত্রিপুরাকে ‘উপদ্রুত’ ঘোষণা করে ‘পিছনের দরজা’ দিয়ে ক্ষমতা দখলের ছক কষছে বিজেপি। বিজনবাবু বলেন, ‘‘দলের কর্মীদের প্ররোচনায় পা না দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে আমাদের উপর হামলা হলে প্রতিরোধ করা হবে।’’