Ajit Doval

লাদাখে সরেনি চিনা সেনা, পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে ডোভালরা

১৯৯৭ সালে গঠিত সিএসজি’র ঘোষিত সরকারি স্বীকৃতি নেই। কিন্তু চিন সম্পর্কিত নীতি ও কৌশলগত অবস্থান নির্ধারণের ক্ষেত্রে এই গোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

Advertisement

সংবাদসংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২০ ১৪:৫৮
Share:

লাদাখে ভারতীয় সেনা। ছবি: এপি

গালওয়ানে সংঘর্ষের পরেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) লঙ্ঘন থেকে বিরত হয়নি চিন। ২২ জুন কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকে সেনা সংখ্যা কমানো এবং ‘মুখোমুখি’ অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হলেও তা উপেক্ষা করছে পিপলস লিবারেশন আর্মি। এই পরিস্থিতিতে লাদাখের অবস্থা পর্যালোচনার জন্য বৈঠক করেছে কেন্দ্রের ‘চায়না স্টাডি গ্রুপ’ (সিএসজি)।

Advertisement

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নেতৃত্বাধীন এই গোষ্ঠীতে রয়েছেন সেনাপ্রধান, স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ক্যাবিনেট সচিব এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (আইবি) প্রধান। ১৯৯৭ সালে গঠিত সিএসজি’র ঘোষিত সরকারি স্বীকৃতি নেই। কিন্তু চিন সম্পর্কিত নীতি ও কৌশলগত অবস্থান নির্ধারণের ক্ষেত্রে এই গোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

কেন্দ্রের একটি সূত্র জানাচ্ছে, শনিবার রাতের বৈঠকে লাদাখের এলএসি জুড়ে চিনা ফৌজের তৎপরতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করেন অজিত ডোভাল-সহ অন্যেরা। কেন্দ্রের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গালওয়ানে ১৫ জুনের সংঘর্ষে নিহত ২০ জন জওয়ানের মধ্যে অন্তত ১৫ জনের মাথায় ভোঁতা অস্ত্রের প্রাণঘাতী আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অর্থাৎ, পরিকল্পনা মাফিক খুনের উদ্দেশ্যেই হামলা চালিয়েছিল চিন সেনা।

Advertisement

আরও পড়ুন: তিব্বত হতে রাজি নই! কেন্দ্রশাসিত হওয়ার ‘অপমান’ সয়েও বলছে লাদাখ

প্রাক্তন সেনাপ্রধান তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ভি কে সিংহ অবশ্য এদিন গালওয়ান কাণ্ডের নতুন ‘ব্যাখ্যা’ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘৬ জুন কোর কমান্ডার স্তরের প্রথম বৈঠকে স্থির হয়েছিল দু’পক্ষই এলএসি বরাবর ‘চোখে-চোখ’ অবস্থান থেকে কিছুটা পিছিয়ে আসবে। ছাউনিও সরিয়ে নেবে। কিন্তু কর্নেল সন্তোষ বাবুর নেতৃত্বে বিহার রেজিমেন্টের জওয়ানেরা ১৫ জুন রাতে গিয়ে দেখতে পান চিনা ছাউনিগুলি তখনও পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪-র কাছে রয়েছে। রয়েছে কিছু চিনা সেনাও। সন্তোষের নির্দেশে ভারতীয় জওয়ানেরা ছাউনিগুলি সরানোর চেষ্টা করেন। সে সময় হঠাৎ একটি ছাউনিতে আগুন ধরে যায়। এর পরেই সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়।’’

আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণরেখায় এ বার মার্শাল আর্ট ফাইটার আনছে চিন

সেই সংঘর্ষস্থলের অদূরে গালওয়ান নদীর তীরে চিনা ছাউনির সংখ্যা গত এক সপ্তাহে আরও বেড়েছে বলে বিভিন্ন উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে। গোগরার হট স্প্রিং এলাকা এবং প্যাংগং লেকের উত্তরে ফিঙ্গার পয়েন্ট ৮ থেকে ৪ পর্যন্ত কংক্রিটের বাঙ্কার গড়ে বসে রয়েছে চিন সেনা। অভিযোগ, দৌলত বেগ ওল্ডি বায়ুসেনা ঘাঁটির দক্ষিণে দেপসাং উপত্যকায় এলএসি পেরিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার ঢুকে এসে লাল ফৌজ ‘ওয়াই-জংশনে’ ডেরা বেঁধেছে। ফলে ভারতীয় বাহিনীর পেট্রোলিং পয়েণ্ট ১০ এবং ১৩-তে যাওয়া বন্ধ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement