অভ্যাস বদলে ঝুঁকি কমেছে সংক্রমণেরও

রাজ্যের যে সব গ্রামে এখনও খোলা জায়গায় মলত্যাগ চলছে এবং যেখানে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তার তুল্যমূল্য বিচার করে এমনই রিপোর্ট দিল ইউনিসেফ। জল ও নিকাশি মন্ত্রকের সঙ্গে ইউনিসেফ মিলে পূর্ব ভারতের তিনটি রাজ্যে এই সমীক্ষা চালিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৯ ০২:৫০
Share:

মল থেকে খাবারে সংক্রমণের ঝুঁকি ৮.৪৭ গুণ। নলবাহিত জলে সংক্রমণের আশঙ্কা ২.৭৩ গুণ। বাড়িতে তুলে রাখা জলে সংক্রমণের ঝুঁকি ৪.১৪ গুণ আর মাটির নীচের জলে সংক্রমণের ঝুঁকি ৬.৫ গুণ।

Advertisement

রাজ্যের যে সব গ্রামে এখনও খোলা জায়গায় মলত্যাগ চলছে এবং যেখানে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তার তুল্যমূল্য বিচার করে এমনই রিপোর্ট দিল ইউনিসেফ। জল ও নিকাশি মন্ত্রকের সঙ্গে ইউনিসেফ মিলে পূর্ব ভারতের তিনটি রাজ্যে এই সমীক্ষা চালিয়েছে। বিহার, ওড়িশার সঙ্গে তাতে ছিল পশ্চিমবঙ্গও। নরেন্দ্র মোদী সরকার ‘স্বচ্ছ ভারত’ অভিযান চালু করে বাড়িতে বাড়িতে শৌচাগার তৈরির লক্ষ্য নেয়। যার মূল লক্ষ্য ছিল, খোলা জায়গায় মলত্যাগ বন্ধ করা। পশ্চিমবঙ্গে অবশ্য মোদী সরকারের ‘স্বচ্ছ ভারত’ অভিযানের আগেই ‘নির্মল বাংলা’ প্রকল্প শুরু হয়ে গিয়েছিল।

ভারতে ইউনিসেফ-এর প্রতিনিধি ইয়াসমিন আলি হক বলেন, খোলা জায়গায় মলত্যাগ বন্ধ করাটা আসলে মানুষের অভ্যাস বদল। কিন্তু এটা বন্ধ হলে খাবার ও পানীয় জলে মল থেকে সংক্রমণের আশঙ্কাও কমে। তার ফলে ডায়েরিয়া থেকে শুরু করে নানা কঠিন রোগে মৃত্যুও কমে।

Advertisement

ইউনিসেফ-এর ওয়াশ বিভাগের প্রধান নিকোলাস ওসবার্ট বলেন, খোলা জায়গায় মলত্যাগ বন্ধ হয়ে যাওয়া পশ্চিমবঙ্গের চারটি গ্রাম এবং বন্ধ না-হওয়া চারটি গ্রামে সমীক্ষা হয়েছে। মাটির নীচের জল, নলবাহিত জল, ঘরে তুলে রাখা জল, মাটি থেকে স্কুলের মিড-ডে মিল, রাস্তার ধারের খাবারের দোকানের নমুনা তুলে নিয়ে এসে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। বাইরে মলত্যাগ বন্ধ হয়ে যাওয়া গ্রামের ঘরের জলে মাত্র ১০ শতাংশ নমুনাতেই মলবাহিত দূষণ মিলেছে। যে সব গ্রামে এখনও খোলা জায়গায় মলত্যাগ চলছে, সেখানে ৪১.৪ শতাংশ নমুনায় সংক্রমণ মিলেছে।

নতুন জলশক্তি মন্ত্রকের মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত বলেন, ‘‘খোলা জায়গায় মলত্যাগ বন্ধ করার পরে এ বার স্বচ্ছ ভারত অভিযানের দ্বিতীয় ধাপে কঠিন বর্জ্য সাফ করার ব্যবস্থা তৈরি হবে। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, দেশে গ্রামের ৯৬ শতাংশ বাড়িতেই শৌচাগার রয়েছে।’’ পানীয় জল ও নিকাশি মন্ত্রকের সচিব পরমেশ্বরন আইয়ার জানান, শৌচাগার তৈরির কাজ শেষ হওয়ার পরে দ্বিতীয় ধাপে অভ্যাস বদলানোর দিকে নজর বাড়ানো হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement