লোকসভার অধিবেশনে পাশ হল টেলিকম বিল। — ফাইল চিত্র।
প্রায় বিরোধীশূন্য লোকসভায় বুধবার দণ্ডসংহিতা বিলের মতোই পাশ হয়ে গেল নতুন টেলিকম বিল। গত সোমবার কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক্স এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর পেশ করা বিলটি কেবল ধ্বনিভোটেই পাশ হয় সংসদের নিম্নকক্ষে। এর পর রাজ্যসভায় পাশ হয়ে রাষ্ট্রপতির ছাড়পত্র মিললে ব্রিটিশ জমানার টেলিগ্রাফ আইন, ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফি আইনের বদলে এই বিল সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রটির নিয়ন্ত্রণের নতুন আইন হয়ে উঠবে।
বিরোধীদের একাংশের তরফে আগেই ওই বিলের একাধিক ধারা নিয়ে আপত্তি তোলা হয়েছে। অভিযোগ, জাতীয় নিরাপত্তার অছিলায় যে কোনও সংস্থার টেলিযোগাযোগ পরিষেবার নিয়ন্ত্রণ হাতে নেওয়ার বা বন্ধ করার বল্গাহীন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। তা ছাড়া, নতুন বিলের খসড়ায় ইন্টারনেট নির্ভর ফোন এবং মেসেজকেও ‘টেলিযোগাযোগের’ আওতায় আনা হয়েছে। ফলে হোয়াট্সঅ্যাপ মেসেজ এবং কলের উপরেও নজরদারির আশঙ্কা করছেন অনেকে।
প্রসঙ্গত, গত অগস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন টেলিযোগাযোগ বিলের খসড়া পাশ হয়েছিল। সরকারের যুক্তি ছিল, ১৩৮ বছরের পুরনো ব্রিটিশ জমানার টেলিগ্রাফ আইন ইন্টারনেট নির্ভর টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী নয়। জাতীয় নিরাপত্তার কারণে নেট-নির্ভর টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে নতুন আইন প্রণয়নের প্রয়োজন রয়েছে। যদিও বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ, ভবিষ্যতে প্রস্তাবিত ওই আইন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে।