প্রতীকী ছবি।
ফোন নম্বরের সঙ্গে আধার সংযোগের নামে টেলিকম সংস্থাগুলো গ্রাহকদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। এমনই অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন টেলিকম সংস্থার গ্রাহকদের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: গ্রামে মন দিন নরেন্দ্র মোদী, চায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ
২০১৮-র ফেব্রুয়ারির মধ্যে গ্রাহকদের ফোন নম্বরের সঙ্গে আধার সংযোগ করতে হবে, টেলিকম সংস্থাগুলোর উদ্দেশে এমনই নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশকে সামনে রেখেই টেলিকম সংস্থাগুলো গ্রাহকদের হয়রানি করছে। কখনও এসএমএস করে, কখনও ফোন করে ‘ভয়’ দেখানো হচ্ছে, আধার সংযোগ না করা হলে ফোনের কানেকশন কেটে দেওয়া হবে।
ভেরিফিকেশনের নামে টেলিকম সংস্থাগুলোর এ ধরনের ‘ভয়’ দেখানোর পন্থায় রীতিমতো বিরক্ত গ্রাহকেরা। প্রশ্ন উঠেছে, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যখন সময় রয়েছে, তা হলে এ ধরনের ‘হুমকি’ এসএমএস বা ফোন করে অযথা গ্রাহকদের হয়রানি করা কেন?
আরও পড়ুন: পুড়ে ছাই গুরুঙ্গপন্থীদের বাড়ি, পার্টি অফিস, পিছনে গুরুঙ্গই! দাবি পুলিশের
আবার এমনও অভিযোগ উঠেছে, সার্ভিস সেন্টারগুলোতে আধার সংযোগ করাতে গিয়েও হয়রানি হতে হচ্ছে। অনেক সময়ই বায়োমেট্রিক মেশিনগুলো ঠিক মতো কাজ করছে না। ফলে গ্রাহকদের পরে আসতে বলা হচ্ছে। এক গ্রাহক জানাচ্ছেন, সবচেয়ে সমস্যা বয়স্ক মানুষ, গ্রাম ও পাহাড়ি এলাকার মানুষদের। আধার সংযোগের জন্য টেলিকম সংস্থাগুলো যে ধরনের বার্তা পাঠাচ্ছে তাতে একটা আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে গ্রাহকদের মধ্যে। আর সেই আতঙ্কের জেরে সার্ভিস সেন্টারগুলোতে দৌড়চ্ছেন তাঁরা। ফলে ভিড় উপচে পড়ছে সেখানে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বয়স্ক মানুষরা সমস্যায় পড়ছেন। আবার গ্রাম বা বাহাড়ি এলাকাগুলোয় সার্ভিস সেন্টারগুলো দূরে থাকায় বার বার যাওয়াটাও সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে গ্রাহকদের কাছে।
টেলিকম সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে আধার নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠায় প্রসঙ্গে টেলিকম দফতরের সেক্রেটারি অরুণা সুন্দরারাজন জানিয়েছেন, টেলিকম সংস্থা ও গ্রাহকদের মধ্যে এই সমস্যা দূর করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে টেলিকম সংস্থাগুলো তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছে।