ছাত্রীকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি- এক্স।
সদ্য নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী এ রেবন্ত রেড্ডির নেতৃত্বাধীন তেলঙ্গানার কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-এর সদস্যরা। সেখানে বিক্ষোভরত এক ছাত্রীকে চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে দুই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি এবং বিআরএস।
তবে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, দুই মহিলা পুলিশকর্মী স্কুটি নিয়ে ওই কলেজ পড়ুয়ার পিছু ধাওয়া করেছেন। তরুণী ছুটে পালাচ্ছিলেন। হাতের নাগালে আসতেই স্কুটি চালকের পিছনে বসে থাকা পুলিশকর্মী ওই ছাত্রীর চুলের মুঠি ধরে ফেলেন। চুল ধরেই তাঁকে কিছু দূর হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার পর রাস্তায় পড়ে যান এবিভিপির সদস্য ওই ছাত্রী।
জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন এবিভিপির পড়ুয়ারা তেলঙ্গানা স্টেট এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সটির অধ্যাপক জয়শঙ্করের মালিকানাধীন জমি বরাদ্দ করার বিষয়ে রেড্ডি সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিলেন। তখনই এই কাণ্ড ঘটান দুই পুলিশকর্মী। সমাজমাধ্যমে নিমেষে ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিয়োটি। তার পরেই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে বিরোধীরা।
ক্ষোভে ফুঁসছে বিজেপি। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মহিলা এবং শিশু সুরক্ষা কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে গেরুয়া শিবির। অন্ধ্রপ্রদেশের বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি বিষ্ণু বর্ধন রেড্ডি এক্স হ্যান্ডেলে এ বিষয়ে একটি পোস্ট করেছেন। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে জুড়ে দিয়ে বিষ্ণু বর্ধন লিখেছেন, ‘‘আমি দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি এবং মহিলা এবং শিশু সুরক্ষা কমিশনকে বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করছি।’’
পুলিশের এই আচরণ অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে দাবি করেছেন তেলঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা কে কবিতা রাও। পুলিশের নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনার দাবিও তুলেছেন তিনি। মানবাধিকার কমিশনের কাছে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন কবিতা।