ছবি: সংগৃহীত।
খোলা মাঠের উপর সবুজ ট্র্যাক্টরের উপর উর্দি পরে দাঁড়িয়ে এক মহিলা আধিকারিক। তাঁর আশপাশে জড়ো একাধিক ব্যক্তি। প্রায় প্রত্যেকের হাতেই প্রমাণ সাইজের বাঁশের লাঠি। হঠাৎই ট্র্যাক্টরের উপর লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করল তারা। মহিলাটি মোবাইল ফোনে সে খবর দেওয়ার চেষ্টা করতেই লাঠির ঘায়ে তাঁর হাত থেকে তা ছিটকে গেল। এ বার সরাসরি লাঠির আঘাত নেমে এল তাঁর উপরেই। চলতে থাকল এলোপাথাড়ি লাঠি। নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও রেহাই পাননি তিনি। সরকারি প্রকল্পের অধীনস্থ বৃক্ষরোপণের কাজে গিয়ে এ ভাবেই আক্রান্ত হলেন বন দফতরের এক মহিলা আধিকারিক। ঘটনার ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে এমনই ছবি।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকালে তেলঙ্গানার এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ক্ষমতাসীন তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির (টিআরএস) এক বিধায়কের ভাই-সহ ১৬ জনকে। ওই মহিলাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
এ দিন সকালে কোমারম ভীম আসিফাবাদ জেলায় নিজের দল নিয়ে বৃক্ষরোপণের কাজে গিয়েছিলেন ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার সি অনিতা। ৩০ জন পুলিশকর্মী ও ফরেস্ট গার্ড থাকা সত্ত্বেও উন্মত্ত জনতার হাতে আক্রান্ত হন তাঁরা। অভিযোগ, নিজের সঙ্গীদের নিয়ে স্থানীয় জেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারপার্সন তথা বিধায়ক কোনেরু কোনাপ্পার ভাই কোনেরু কৃষ্ণ ওই আক্রমণের নেতৃত্ব দেন।
সতর্কীকরণ: এই ভিডিয়োর একাংশ দর্শকদের মনের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
আরও পড়ুন: ৮০০ যাত্রী নিয়ে হাওড়া থেকে পুরী, মাঝপথে সলিলসমাধি, বাঁচলেন না প্রায় কেউই
আরও পড়ুন: ভাঙন রুখতে মরিয়া তৃণমূল, দিল্লির ডাক পাওয়ার আগেই শোভনের বাড়িতে হাজির মমতার দূত
সিরপুর-কাঘাজনগর এলাকায় এই বৃক্ষরোপণ প্রকল্পটিকে ‘দ্বিতীয় বৃহত্তম স্বপ্নের প্রকল্প’ বলে অভিহিত করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। তাঁর নিজের দলের বিধায়কের ভাইয়ের নাম এই ঘটনায় জড়িয়ে পড়ায় স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে টিআরএস। অভিযোগ, যে জমিতে বৃক্ষরোপণের কাজ হবে বলে নির্ধারিত করা হয়েছিল, তা দখল করে চাষবাস করছিলেন স্থানীয়রা। সূত্রের খবর, এর ফলে বৃক্ষরোপণকে ঘিরে বেশ কয়েক দিন ধরেই চাপা উত্তেজনা ছিল ওই এলাকায. সে কারণেই পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল বন দফতরের আধিকারিকদের।
আরও পড়ুন: ছোট্ট ‘মোদী’কে নিয়ে ঝামেলায় মেহনাজ, এ বার নাম রাখতে চান আফতাব!
আরও পড়ুন: ‘সংসদ চলছে বলে নখ-দাঁতগুলো দেখতে পাচ্ছেন না’, মমতাকে হুঁশিয়ারি মুকুলের
তবে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করলেও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠছে। যদিও সে অভিযোগ উড়য়ে দিয়েছেন, জেলার পুলিশ প্রধান মল্ল রেড্ডি। তিনি বলেন, ‘‘ওই ঘটনাটি অত্যন্ত দ্রুত ঘটে গিয়েছে। উন্মত্ত জনতাকে হঠাতে কোনও পুলিশকর্মীরা কেন শূন্যে গুলি চালালেন না, তা তদন্ত করে দেখা হবে। তবে গুলি করলে বোধহয় হিতে বিপরীত হত।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।