অমিত শাহকে বিঁধলেন তেজস্বী যাদব।
বিহারে সদ্যই গদিচ্যুত হয়েছে বিজেপি। গেরুয়া-সঙ্গ ত্যাগ করে বিরোধী আরজেডির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়েছেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। এই ঘটনা পরম্পরায় রাজ্যে খানিক মুষড়ে পড়েছে বিজেপি। দলকে চাঙ্গা করতেই রাজ্যে এসে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের জন্য ঝাঁপানোর নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের বিরুদ্ধে বিজেপির পিঠে ছুরি মারার অভিযোগ করে বিহারবাসীকে ‘জঙ্গলরাজ’-এর কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। এর পরেই পাল্টা সুর চড়ান বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। শাহের সভাকে ‘হাস্যকর’ বলে কটাক্ষ করেন তেজস্বী বলেন, ‘‘অমিত শাহের কথা শুনে মনে হল, উনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও নন, রাজনীতিকও নন।’’
দু’দিনের বিহার সফরে এসে শুক্রবার পূর্ণিয়ায় সভা করেছেন শাহ। সেখান থেকে লাগাতার রাজ্যের জোট সরকারকে বিঁধেছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নীতীশ কুমার আর লালুপ্রসাদ (আরজেডি প্রধান)-এর এই জোটকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।’’ শুধু তাই নয়, আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও একার ক্ষমতায় বিজেপি রাজ্যের কুর্সিদখল করবে বলে দাবি করেন শাহ। তার প্রেক্ষিতে তেজস্বী বলেন, ‘‘বিহারের মানুষকে বোকা বানাতে চাইছেন শাহ। রাজ্যের আবহাওয়া দূষিত করছেন উনি। অমিত শাহের কথা শুনে মনে হল, উনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও নন, রাজনীতিকও নন। ওঁর গোটা ভাষণটাই হাস্যকর। মূল্যবৃদ্ধি আর বেকারত্ব নিয়ে তো একটাও কথা বললেন না।’’ এ প্রসঙ্গে ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর বলা একটি কথার প্রসঙ্গও টানেন তেজস্বী। তিনি বলেন, ‘‘২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে মোদী বলেছিলেন, বিহারের দিকে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হবে। কই সে সব নিয়ে কিছু বললেন শাহ?’’
বিহারবাসীর উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘রাজ্যে নীতীশ-লালুর সরকার থাকলে শীঘ্রই আবার জঙ্গলরাজ ফিরে আসবে।’’ তারও উত্তর দিয়েছেন তেজস্বী। বলেছেন, ‘‘কিসের ভিত্তিতে জঙ্গলরাজের কথা বলছেন উনি? বিহারের চেয়ে তো দিল্লিতে অপরাধের ঘটনা বেশি ঘটে। দিল্লির আইনশৃঙ্খলাও দেখে কেন্দ্র।’’