তিস্তা শেতলবাদ। ফাইল চিত্র।
গুজরাতের বিজেপি সরকারকে দুর্বল করার জন্য প্রয়াত কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেলের থেকে নাকি ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। ধৃত সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদের বিরুদ্ধে আমদাবাদের দায়েরা আদালতে হলফনামা দিয়ে এই অভিযোগ এনেছে গুজরাত পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল।
হলফনামায় বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০২ সালের গোধরা-কাণ্ডের পর গুজরাত সরকারকে নড়বড়ে করার জন্য কংগ্রেস নেতা পটেলের সঙ্গে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশীদার ছিলেন তিস্তা। সে জন্য আর্থিক সহায়তাও পেয়েছিলেন তিনি। ঘটনাচক্রে, ২০০২-এর গোধরা পরবর্তী গুজরাত দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে দীর্ঘ দিন রয়েছেন তিস্তা। তাঁদের আইনি সহায়তাও দিয়েছেন তিনি। গত ২৫ জুন গুজরাত পুলিশের জঙ্গিদমন শাখার (এটিএস) হাতে তিস্তার গ্রেফতারি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জও। ফলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সরকার কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গাপর্বের গুলবার্গ সোসাইটি হত্যাকাণ্ড মামলায় বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদী-সহ বেশ কয়েক জনকে ক্লিনচিট দিয়েছিল। তার বিরোধিতায় মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সম্প্রতি সেই মামলা খারিজ করে দেশের শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি, গুজরাত দাঙ্গা সংক্রান্ত কোনও মিথ্যা তথ্যপ্রমাণ তিস্তা পেশ করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখার কথা বলেন। তার পরেই মুম্বইয়ে গিয়ে গুজরাত পুলিশের এটিএস তিস্তাকে গ্রেফতার করে।