Juvenile

হোমের মধ্যেই ওয়ার্ডেনকে খুন করল সিরাপ নেশাড়ু পাঁচ কিশোর

সম্প্রতি ওষুধপত্রের অপব্যবহার শুরু হয়। লুকিয়ে কফ সিরাপ সরিয়ে নিতে শুরু করে জনা কয়েক কিশোর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পটনা শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৪:১৮
Share:

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

বিহারে সরকারি হোমে সিরাপের অপব্যবহার। তা রুখতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ দিলেন ওয়ার্ডেন। ৫ কিশোর বন্দি মিলে তাঁকে গুলি করে খুন করেছে। ১৭ বছরে এক সহবন্দিকেও খুন করেছে তারা। ঘটনার পর থেকেই ফেরার অভিযুক্তরা।তাদের মধ্যে একজনের বাবা স্থানীয় সংযুক্ত জনতা দলের নেতা।

Advertisement

পটনা থেকে ৩২৫ কিমি দূরে পূর্ণিয়ায় অবস্থিত ওই হোম। অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা অপরাধমূলক কাজকর্মে লিপ্ত হলে, তাদের সেখানে আনা হয়। সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলে। সবরকম সুযোগ সুবিধাই দেওয়া হয়। অসুখ বিসুখ হলে মেলে চিকিৎসা পরিষেবাও। তার জন্য ওষুধপত্র মজুত থাকে সবসময়।

কিন্তু সম্প্রতি ওষুধপত্রের অপব্যবহার শুরু হয়। লুকিয়ে কফ সিরাপ সরিয়ে নিতে শুরু করে জনা কয়েক কিশোর। সেগুলি মাদকদ্রব্য হিসাবে ব্যবহার করতে শুরু করে তারা। ওয়ার্ডেন বিজেন্দ্র কুমারের কানে সেখবর পৌঁছয়। মঙ্গলবার সন্দেহভাজনদের পাঁচজনের জিনিসপত্রে তল্লাশি চালান তিনি। তাতে উদ্ধার হয় কফ সিরাপের শিশি।

Advertisement

এর পর স্থানীয় জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের দ্বারস্থ হন বিজেন্দ্র। ওই পাঁচজনকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানান। বুধবার তাঁর আবেদন মেনে নেয় জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড। সে খবর কানে যেতেই নাকি মেজাজ হারায় অভিযুক্তেরা! প্রথমে বিজেন্দ্র কুমারকে গুলি করে খুন করে তারা। তারপর ১৭ বছরের এক কিশোরের ওপর চড়াও হয় তারা।

তাদের সন্দেহ ছিল, ওই কিশোরই হয়ত ওয়ার্ডেনকে সব খবর দিয়েছে।কফ সিরাপ কোথায় লুকোনো আছে, তাও জানিয়েছে। তাই তাকেও খুন করে তারা। বন্দুক দেখিয়ে নিরাপত্তা রক্ষীকে গেট খুলতে বাধ্য করে। তার পর সেখান থেকে চম্পট দেয়।

ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের বাবা স্থানীয় সংযুক্ত জনতা দলের নেতা। আর একজনের বিরুদ্ধে প্রায় একডজন অপরাধ মামলা ঝুলছে। তাদের খোঁজ পেতে বিশেষ বাহিনী গড়া হয়েছে। তবে ওই হোমে বন্দুক ঢুকল কীভাবে, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তদন্ত চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement