ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিনের ছেলে উদয়নিধি স্ট্যালিন। ফাইল ছবি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘অত্যাচার’ এবং ‘চাপ’-এর কারণে মারা গিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং অরুণ জেটলি। বৃহস্পতিবার ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিনের ছেলে উদয়নিধি স্ট্যালিন। মোদী বিজেপি-র বর্ষীয়ান নেতাদের মূলস্রোত থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছেন— পুরনো এই অভিযোগ ফের শোনা গিয়েছে তামিলনাড়ুর এই তরুণ নেতার মুখে। যদিও স্ট্যালিনের এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন সুষমা এবং অরুণের মেয়েরা।
তামিলনাড়ুতে বিধানসভা ভোটের পারদ চরমে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী জনসভার বিরোধিতা করে বিক্ষোভও হয়েছে দক্ষিণের এই রাজ্যে। সেই আবহেই বৃহস্পতিবার মোদীকে আক্রমণ করেছেন স্ট্যালিন-পুত্র। তিনি বলেছেন, “বিজেপি-তে সুষমা স্বরাজ বলে এক নেত্রী ছিলেন। নরেন্দ্র মোদীর ক্রমাগত চাপ দিয়ে তাঁকে মেরে ফেলেছেন। অরুণ জেটলিও মারা গিয়েছেন মোদীর অত্যাচারে।’’ এর পরই বিজেপি-এআইডিএমকে জোটকে আক্রমণ করেছেন এই তরুণ নেতা। বলেছেন, ‘‘আমি পলানীস্বামী (তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী) নই যে ভয়ে আপনার সামনে মাথা নত করব। আমি উদয়নিধি স্ট্যালিন, কালাইগনারের নাতি।’’
যদিও উদয়নিধির এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন সুষমা এবং অরুণের দুই কন্যা। সুষমার মেয়ে বাঁশরী স্বরাজ টুইটে লিখেছেন, ‘স্রেফ প্রচারের জন্য আমাদের মায়ের স্মৃতিকে ফিরিয়ে আনবেন না। আপনার বিবৃতি মিথ্যা। মোদীজি আমার মাকে ভীষণ শ্রদ্ধা ও সম্মান করতেন। আমার পরিবারের দুঃসময়ে প্রধানমন্ত্রী এবং দল আমাদের পাশে ছিলেন’।
একই কথা শোনা গিয়েছে অরুণ জেটলির মেয়ে সোনালির গলাতেও। তিনিও টুইটে উদয়নিধির বক্তব্যের বিরোধিতা করে লিখেছেন, ‘উদয়জি, আমি জানি নির্বাচনের চাপ রয়েছে। কিন্তু এ রকম মিথ্যা এবং অশ্রদ্ধা দেখে চুপ থাকতে পারলাম না। রাজনীতির বাইরেও আমার বাবা এবং মোদীজির বিশেষ সম্পর্ক ছিল’।
২০১৯ সালের অগস্টে মারা যান সুষমা স্বরাজ এবং অরুণ জেটলি। দু’জনেই স্বাস্থ্যের কারণে সে বছরের লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। অন্য দিকে জয়ললিতার মৃত্যুর পর তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে। জয়ললিতার দল এআইডিএমকে বিজেপি-কে সঙ্গে নিয়ে গদি বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমেছে। কংগ্রেস এবং ডিএমকে জোট সে রাজ্যে বিজেপি-র উত্থান রুখতে মরিয়া। ২৩৪ আসনের তামিলনাড়ু বিধানসভায় ভোটগ্রহণ আগামী ৬ এপ্রিল। এক দফাতেই ভোট হবে সে রাজ্যে।