তামিলনাড়ুর শিক্ষামন্ত্রী কে পনমুডি। ছবি: পিটিআই।
আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন তামিলনাড়ুর উচ্চশিক্ষামন্ত্রী তথা ডিএমকে নেতা কে পনমুডি। বৃহস্পতিবার মাদ্রাজ হাইকোর্ট তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। সঙ্গে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
গত ২৮ জুন বেল্লোরের একটি আদালত প্রমাণের অভাবে পনমুডি এবং তাঁর স্ত্রীকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছিল। কিন্তু মাদ্রাজ হাই কোর্ট নিম্ন আদালতের সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়। বুধবার মামলাটি আদালতে উঠলে মাদ্রাজ হাই কোর্ট পনমুডিকে দোষী সাব্যস্ত করে। বৃহস্পতিবার মন্ত্রীকে কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পনমুডির সঙ্গে তাঁর স্ত্রীকেও ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সাজা যাতে কম হয় তার আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টে মেডিক্যাল রিপোর্টও দেন সস্ত্রীক পনমুডি। তাঁরা আর্জি জানান, এই মামলাটি অনেক পুরনো। তা ছাড়া মন্ত্রীর ৭৩ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে। স্ত্রীর বয়সও ৬০। তাই বয়স এবং শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে ন্যূনতম সাজা দেওয়া হয়।
মামলাটি ২০০২ সালের। পনমুডি এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই সময় রাজ্যে এআইএডিএমকে-র সরকার ছিল। দ্য ডিরেক্টরেট অফ ভিডিল্যান্স অ্যান্ড অ্যান্টি করাপশন (ডিভিএসি)-এর দাবি, মন্ত্রী থাকাকালীন ১৯৯৬-২০০১ সালের মধ্যে প্রচুর বেনামী সম্পত্তির অধিকারী হন। সেই সময় থেকেই তামিলনাড়ুর শিক্ষমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা চলছিল। ১৯৮৯ সালে বিল্লুপুরম থেকে প্রথম বার বিধায়ক হন পনমুডি।
গত জুলাইয়ে পনমুডি, তাঁর পুত্র গৌতম সিগামানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, ২০০৬-২০১১ সালের মধ্যে খনিমন্ত্রী থাকার সময় তামিলনাড়ুর ‘মাইনর মিনারেল কনসেশন’ আইন ভঙ্গ করেছিলেন পনমুডি। শুধু তা-ই নয়, সেই সময় প্রায় সাড়ে ২৮ কোটি টাকা দুর্নীতিরও অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই মামলাতেই পনমুডি এবং তাঁর পুত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।