বন্যার জলে ভাসছে দক্ষিণের রাজ্য। ছবি— পিটিআই।
বৃষ্টি থামার নাম নেই তামিলনাড়ুতে। ধারাবাহিক ভাবে অবিরাম এত বৃষ্টির কথা মনে করতে পারছেন না রাজ্যের বয়স্করাও। আর অবিশ্রান্ত বৃষ্টির জেরে ডুবেছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট। রাজ্যের শহরাঞ্চলের চেয়েও খারাপ অবস্থা গ্রামাঞ্চল এবং শিল্পাঞ্চল এলাকার। ভারতীয় বায়ুসেনা এবং নৌসেনা একযোগে ত্রাণের কাজ চালাচ্ছে। দক্ষিণ তামিলনাড়ু থেকে জলে আটকে পড়া পরিবারগুলির বেশির ভাগকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বুধবারই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানিয়ে দিয়েছিলেন, তামিলনাড়ুতে সমস্ত ধরনের সহায়তা দিতে তাঁর মন্ত্রক তৈরি। কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে ত্রাণ এবং উদ্ধারকাজ চলছে জোরকদমে। তবুও প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার কাছে বার বার হার মানতে হচ্ছে। বায়ুসেনার হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছিল। কিন্তু মাঝে পরিস্থিতি এমনই হয়ে যায় যে, হেলিকপ্টার আকাশে ওড়ার পরিস্থিতিও থাকে না। ফলে কার্যত থমকে যায় উদ্ধারকাজ। যদিও সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যেও সর্বস্ব পণ করে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সামরিক বাহিনী।
গত দু’দিন ধরে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমেছে। কিন্তু জলবন্দির ঘটনার বিরাম নেই। নদী, নালা, খাল উপচে জল ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে চার দিক। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা তুতিকোরিনের আলানথালাইয়ের। সেখানে ভারী বৃষ্টি থামার নাম নেই। তিরুনেলভেলি এবং তুতিকোরিনও রেকর্ড ভাঙা বৃষ্টির সাক্ষী হয়েছে এ বার।