প্রতীকী ছবি।
দ্বাদশ শ্রেণির আরও এক প়়ড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু তামিলনাড়ুতে। বুধবার শিবগঙ্গা জেলার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই পড়ুয়ার দেহ। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি মিলিয়ে এই নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টার ভিতরে দুই পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। গত দু’সপ্তাহে পাঁচ পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যেই যা নিয়ে রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
এখনও পর্যন্ত যে পাঁচ পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে, তাদের তিন জনের বাড়ি থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। ওই তিনটি সুইসাইড নোটের বক্তব্য থেকে তদন্তকারীদের দাবি, পড়াশোনার চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন ওই পড়ুয়ারা। এ নিয়ে রাজ্য জুড়ে আলোড়ন তৈরি হতেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্দেশে পড়ুয়াদের মানসিক শক্তি জোগানোর পর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বুধবার দুই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়েছে তামিলনাড়ুতে। শিবগঙ্গায় দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসার আগে সকালে শিবকাশীতে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর দেহ মিলেছে। শিবগঙ্গার ওই ছাত্রের বাড়ি থেকে পাওয়া সুইসাইড নোটে লেখা, স্কুলে অঙ্ক আর জীববিজ্ঞান বিষয়ের চাপ সামলাতে না পেরেই এই আত্মহত্যা। শিবকাশীর ওই ছাত্রীর বাড়ি থেকে অবশ্য কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। তদন্তকারীদের দাবি, গুরুতর পেটের সমস্যায় ভুগছিল ওই ছাত্রী।
এর ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগেই কাড্ডালুক জেলায় দ্বাদশ শ্রেণির আরও এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার বাড়ি থেকে পাওয়া চার পাতার সুইসাইড নোটে লেখা, ‘বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল, আমি আইএএস হব। সেই ইচ্ছা পূরণে ব্যর্থ হয়েছি।’ সোমবার তিরুভাল্লুর জেলার হস্টেল থেকে দ্বাদশ শ্রেণির আরও এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। যদিও কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি।
পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর প্রথম রিপোর্ট জমা পড়ে গত ১৩ জুলাই। স্কুল থেকে উদ্ধার হয় দ্বাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়ার দেহ। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন স্কুলের প্রিন্সিপাল এবং দু’জন শিক্ষক। ছাত্রীর মৃত্যুর পর তার বাবা-মা মাদ্রাজ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পরীক্ষায় নম্বর কম পাওয়ায় ওই পড়ুয়াকে প্রকাশ্যে অপমান করেছেন তাঁরা।
পর পর পাঁচ পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন বলেন, ‘‘কোনও পরিস্থিতিতেই পড়ুয়াদের মাথায় আত্মহত্যার চিন্তাভাবনা আসা উচিত নয়।’’ পড়ুয়াদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘‘কঠিন সময়কে সাফল্যে বদলে ফেল।’’ পাশাপাশিই তাঁর আশ্বাস, পড়ুয়াদের শারীরিক, মানসিক হয়রানির জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।