এমকে স্ট্যালিন। —ফাইল চিত্র।
তামিলনাড়ু বিধানসভায় এ বার একসারিতে দেখা যাবে স্ট্যালিন, গাঁধী এবং নেহরুকে। না, ইতিহাসের পাতা থেকে তামিল রাজনীতিতে পুনর্জীবন পাচ্ছেন না তাঁরা। বরং তাঁদের সমনামী তিন রাজনীতিককে এ বার একসঙ্গে শাসকদলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে দেখা যাবে।
সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচন মিটিছে তামিলনাড়ুতে। তাতে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন দ্রাবিড় মুন্নেটা কাজগম (ডিএমকে) দলের নেতা মুথুভেল করুণানিধি স্ট্যালিন ওরফে এমকে স্ট্যালিন। নিজের মন্ত্রিসভার জন্য যে দু’জনকে বেছেছেন তিনি, তাঁদের পদবীই গাঁধী এবং নেহরু।
শুক্রবার রাজভবনে স্ট্যালিনকে শপথগ্রহণ পাঠ করালেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল বনওয়ারিলাল পুরোহিত। নতুন মন্ত্রিসভায় পুরমন্ত্রী হিসেবে ডিএমকে নেতা কেএন নেহরুকে মনোনিত করেছেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন। বস্ত্র, খাদি এবং গ্রাম শিল্প বিভাগের জন্য বেছে নিয়েছেন আর গাঁধীকে।
কেএন নেহরু তিরুচি থেকে জয়ী হয়েছেন। তাঁর বাবা ছিলেন কংগ্রেস সদস্য। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর নামে ছেলের নামকরণ করেন তিনি। ছয়ের দশকে ডিএমকে-তে নাম লেখান তাঁরা। ১৯৮৯ সালে প্রথম বিধায়ক হন তিনি।
অন্য দিকে, তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনে রানিপেট থেকে জয়ী হয়েছেন আর গাঁধী। আয় বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় নাম উঠেছিল তাঁর। যদিও প্রমাণের অভাবে তা খারিজ হয়ে যায়। মহাত্মার নামে তাঁর নামকরণ হয়েছিল বলে শোনা যায়।
একই ভাবে, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রাক্তন শাসক জোসেফ স্ট্যালিনের নামে ছেলের নাম রাখেন এম করুণানিধি। নামের জন্য ছোটবেলায় স্কুলে ভর্তি হতে সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল স্ট্যালিনকে। নামের দৌলতে হলেও, স্ট্যালিন-গাঁধী-নেহরু ত্রয়ীকে বিধানসভায় দেখতে উন্মুখ তামিলবাসীরা।