Supreme Court

প্রশাসনই নিয়োগ করে নির্বাচন কমিশনার: কেন্দ্র

নরেন্দ্র মোদী সরকারের আনা নয়া আইনে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটি থেকে দেশের প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৪ ০৮:১৭
Share:

সুপ্রিম কোর্ট। — ফাইল চিত্র।

গত ৭৩ বছর ধরে প্রশাসনই ভারতের নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করে আসছে। বাছাই কমিটিতে বিচার বিভাগের কোনও প্রতিনিধি আছেন কি না, তার উপরে নির্বাচন কমিশন বা কোনও প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা কিংবা কর্তৃত্ব নির্ভর করে না। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত নয়া আইনটিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে দায়ের হওয়া একগুচ্ছ মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে এই মন্তব্য করেছে কেন্দ্র। আইন মন্ত্রক আরও বলেছে, সদ্যনিযুক্ত দুই নির্বাচন কমিশনার সুখবীর সিংহ সান্ধু এবং জ্ঞানেশ কুমারের যোগ্যতা নিয়ে আবেদনকারীরা কোনও প্রশ্ন তোলেননি। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি করা।

Advertisement

নরেন্দ্র মোদী সরকারের আনা নয়া আইনে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটি থেকে দেশের প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে রাখা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী, তাঁর বেছে নেওয়া আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে। ফলে নিয়োগ কমিটিতে গোড়া থেকেই সরকার পক্ষের সংখ্যাধিক্য থাকছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। নির্বাচন কমিশনার অনুপচন্দ্র পাণ্ডের অবসর এবং লোকসভা ভোটের মুখে আর এক নির্বাচন কমিশনার অরুণ গয়ালের আচমকা ইস্তফার পরে নয়া কমিটির বৈঠক ডেকে সান্ধু এবং জ্ঞানেশকে নিয়োগ করা হয়। কংগ্রেস নেত্রী জয়া ঠাকুর এবং এডিআরের মতো সংগঠনের তরফে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। আজ সর্বোচ্চ আদালতে দেওয়া হলফনামায় সেই আবেদনগুলি খারিজের পক্ষে সরব হয়ে কেন্দ্র বলেছে, মামলাকারীরা নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনারদের যোগ্যতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলেননি। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগও আনা হয়নি। উল্টে ‘অসমর্থিত এবং ক্ষতিকর বিবৃতি’র দ্বারা একটি রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরির চেষ্টা হচ্ছে।

নয়া আইনটি নিয়ে গত ১৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল বলেই তড়িঘড়ি তার আগের দিন দুই নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ করা হয়েছিল— এই অভিযোগও মানেনি কেন্দ্র। সেখানেই সরকারের যুক্তি, বাছাই কমিটিতে বিচার বিভাগের প্রতিনিধিত্ব থাকলেই নির্বাচন কমিশন বা কোনও প্রতিষ্ঠান স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারবে, বিষয়টি এমন নয়। কেন্দ্রের বক্তব্য, দুই নির্বাচন কমিশনারের পদে সম্ভাব্য অফিসারদের চূড়ান্ত তালিকা বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরীকে ১৩ মার্চই দিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement