ছবি: সংগৃহীত।
দিল্লি সংঘর্ষে আইবি অফিসার অঙ্কিত শর্মাকে খুনে অভিযুক্ত সাসপেন্ডেড আপ কাউন্সিলর তাহির হুসেনের জামিনের আর্জি খারিজ করল দিল্লির অতিরিক্ত দায়রা আদালত। আজ আদালতের পর্যবেক্ষণ, সংঘর্ষকারীদের মানব অস্ত্রের মতো ব্যবহার করেছিলেন তাহির। যারা তাহিরের উস্কানিতেই খুন করে থাকতে পারে।
অন্য দিকে দিল্লি হিংসারই অন্য মামলায় পিঞ্জরাতোড় আন্দোলনের কর্মী ও জেএনইউয়ের পড়ুয়া দেবাঙ্গনা কলিতা ও নাতাশা নারওয়ালের আর্জি আজ খারিজ করে দিয়েছে অতিরিক্ত দায়রা আদালত। দেবাঙ্গনা ও নাতাশার বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলা করেছে দিল্লি পুলিশ।
জামিনের আর্জি খারিজের সময়ে আদালত জানায়, তাহির জামিন পেলে সাক্ষীদের হুমকি কিংবা প্রভাবিত করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এর পরেই বিচারকের মন্তব্য, ‘‘নথিপত্রের ভিত্তিতে মনে হচ্ছে অপরাধের সময়ে আবেদনকারী (তাহির) ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষকে উৎসাহও দিয়েছিলেন।’’ অর্থাৎ নিজে হাতে খুন না করলেও সংঘর্ষকারীদেরই মানব অস্ত্রের মতো ব্যবহার করেছিলেন অভিযুক্ত আপ কাউন্সিলর। প্রাথমিক ভাবে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জামিন খারিজের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে আদালত।
বিচারক জানান, ৭ জুলাই অপরাধ দমন শাখাকে দেওয়া দু’জনের বয়ানের ভিত্তিতে সংঘর্ষে জড়িত বাকিদেরও গ্রেফতার করা হতে পারে। দু’জনের বয়ানে দেখা যাচ্ছে, সংঘর্ষের ষড়যন্ত্রের নীল নকশা তৈরি হয়েছিল আবেদনকারীর বাড়িতেই। আবেদনকারীর সঙ্গে পিএফআই, পিঞ্জরাতোড়, জামিয়া কো-অডিনেশন কমিটি, ইউনাইটেড এগেনস্ট হেট গ্রুপ এবং সিএএ-র প্রতিবাদীদের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা, তা-ও তদন্ত করা হচ্ছে।
তাহিরের দুই আইনজীবী অবশ্য জানিয়েছিলেন, পুলিশের সংগৃহীত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে প্রমাণিত হয় না যে, অপরাধের সময়ে ঘটনাস্থলে ছিলেন তাহির। পাল্টা আদালত জানিয়েছে, তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে, সংঘর্ষকারীরা সিসি ক্যামেরা ভেঙে দিয়েছিল। তাহিরের ঘটনাস্থলে থাকার তথ্য রয়েছে।