প্রিয়া বচ্চানি
ফের ভিসা- জট ছাড়িয়ে ত্রাতার ভূমিকায় সুষমা স্বরাজ। আর এ বার চার হাত এক করতে জোধপুর-করাচির সেতু বাঁধলেন তিনি। বিদেশমন্ত্রীর সাহায্যেই আজ, তাঁর তিন বছরের প্রেমিকা পাকিস্তানের প্রিয়া বচ্চানির সঙ্গে বিয়ে সেরে ফেললেন রাজস্থানের নরেশ তিওয়ারি।
এই বিয়ে হবে, কি হবে না তা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা ছিল গত এক মাস। ৭ নভেম্বর বিয়ের দিন ঠিক হয় নরেশ-প্রিয়ার। জোর কদমে শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি। ঠিক হয়, মেয়ের বিয়ে দিতে জোধপুরে আসবে কনের পরিবার। কনে আসবেন তাঁদেরই সঙ্গে। ঠিক এই সময়ে কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় ভিসা সমস্যা। পাকিস্তানে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে ভিসা দেওয়ার দিন পিছোতে থাকে ক্রমশ। এ দিকে এগোতে থাকে বিয়ের দিন। বাড়তে থাকে চাপ। পাত্রের বাবা কানহাইয়া লাল তিওয়ারি বলেন, ‘‘সব প্রস্তুতি হয়ে গিয়েছিল। নিমন্ত্রণপত্রও পাঠানো হয়ে গিয়েছিল সবাইকে। কিন্তু ভিসা নিয়ে সমস্যা শুরু হওয়ার পরেই থমকে যায় সব কিছু। একটাই চিন্তা ছিল, কী ভাবে ভিসা পাব।’’ শেষমেশ, সব জানিয়ে সুষমা স্বরাজকে টুইট করেন নরেশ। আর ‘মুশকিল আসান’ সুষমার মধ্যস্থতাতেই কাল কনে-সহ ৩৫ জন এসে পৌঁছছেন ভারতে।
ঠিক এ ভাবেই স্ত্রীর দ্রুত ভিসার জন্য আবেদন জানিয়ে সুষমা স্বরাজকে টুইট করেছিলেন দুবাইয়ের বাসিন্দা ইয়াসিন। তাঁদের সমস্যা ছিল কিছুটা আলাদা। অসুস্থ ছেলের চিকিৎসার জন্য মুম্বইয়ে আসতে চেয়েছিলেন ইয়াসিনের পাকিস্তান নিবাসী স্ত্রী। গত সেপ্টেম্বরে ভিসার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও সে ভিসা আটকে ছিল এত দিন। শেষে সাহায্যের জন্য সুষমাকে টুইট করেন ইয়াসিনও। আগামী শুক্রবার সেই টুইটের সাড়া দিয়েছেন সুষমা।
আবার অসুস্থ ছেলেকে ইউক্রেনে দেখতে যাওয়ার জন্য ভিসা পেতে সুষমাকে টুইট করেছিলেন নামুদুরি ভেঙ্কট রাও। সুষমা আশ্বাস দেন, ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধানের দ্রুত চেষ্টা করবেন তিনি। পরে তাঁর দফতর থেকে যোগাযোগ করা হয় ওই ব্যক্তির সঙ্গে।