মমতাকে আক্রমণ সুষমার

পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসায় নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারগুলি যাতে সুবিচার পায়, তার জন্য গত কালই তাঁদের দিল্লি উড়িয়ে এনেছিল দল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৯ ০২:২২
Share:

—ফাইল চিত্র।

রাজনীতিতে ভিন্ন মেরুতে থেকেও দু’জনের সুসম্পর্ক সুবিদিত। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের সঙ্গে বৈঠকের পরে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ। তাঁর মন্তব্য, ‘‘যিনি অতীতে একাধিকবার রাজনৈতিক হিংসার শিকার হয়েছেন, তাঁর শাসনে কী ভাবে এত মানুষের উপর অত্যাচার হচ্ছে, সেটা বুঝে উঠতে পারছি না।’’

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসায় নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারগুলি যাতে সুবিচার পায়, তার জন্য গত কালই তাঁদের দিল্লি উড়িয়ে এনেছিল দল। আজ দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে গণশুনানির আয়োজন করা হয়। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন সুষমা। তিনি কথা বলেন পরিবারগুলির সদস্যদের সঙ্গে। পরে সুষমা বলেন, ‘‘মমতার সঙ্গে আমার দীর্ঘ দিনের পরিচয়। বিরোধী নেত্রী থাকার সময়ে মমতা একবার আমাকে বলেছিলেন, তৃণমূলকে ভোট দেওয়ায় তাঁদের সমর্থকদের হাত কেটে নেওয়া হয়েছে। মমতা নিজেও একাধিকবার হিংসার শিকার হয়েছেন। সেই মমতা ক্ষমতায় এসে এ ভাবে বদলে যেতে পারেন, ভাবতে পারছি না।’’

গণশুনানিতে পরিবারের সদস্যদের হত্যার কথা তুলে ধরেন বিপুলা সহিস-ডলি বর্মনেরা। পুরুলিয়ার বাসিন্দা বিপুলার অভিযোগ, তাঁর স্বামী বিজেপির হয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলন। তাই তাঁর ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে দেয় তৃণমূল সমর্থকেরা। পুলিশে অভিযোগ করা সত্ত্বেও অপরাধীরা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে।

Advertisement

দাঁড়িভিটার স্কুল নিয়ে সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বছর একুশের তাপস বর্মন। বোন ডলির অভিযোগ, টাকা নিয়ে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। বলা হচ্ছে, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নিতে। আবার ‘জয় শ্রীরাম’ বলার অভিযোগে হাওড়ার সমতুল দলুইকে হত্যা করা হয়েছে বলে সরব হন তাঁর স্ত্রী অর্পিতা দলুই। এ সব শুনে ক্ষুব্ধ সুষমা বলেন, ‘‘মমতার রাজত্বে কেউ সুবিচার পাচ্ছেন না, এটা অবাক করার মতো বিষয়। যা দেখছি তাতে পুলিশ অভিযোগ পর্যন্ত নিচ্ছে না। একমাত্র সিবিআই তদন্ত হলে নিহতদের পরিবার ভরসা পাবে।’’

বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এ ভাবে গণশুনানি করে রাজ্যকে ছোট করা হচ্ছে। রাজ্যের কোনও দুর্বলতা থাকলে প্রশাসনের কাছে বলতেই পারে। এ সব রাজনৈতিক গিমিক।’’ তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘‘এটি একটি দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি। এ নিয়ে কিছু বলার নেই।’’ তৃণমূল নেত্রীকে সুষমার আক্রমণ করা নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘‘বিজেপি নেত্রীর কাছে সম্পূর্ণ তথ্য নেই। একপেশে তথ্য থেকেই তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।’’

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement