রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তেজস্বীপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে টাটা স্টিলের সম্পতি দখলের অভিযোগ করলেন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার মোদী। আজ রাজ্য বিজেপি দফতরে বসে তিনি বলেন, ‘‘উপকারের বিনিময়ে ওই সম্পতি উপহার পেয়েছে লালুপ্রসাদের পরিবার।’’
উপ-মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, পটনা শহরের অভিজাত এলাকায় তেজস্বীপ্রসাদের দোতলা ওই বাড়িটি গত ৯ ফেব্রুয়ারি আয়কর দফতর বাজেয়াপ্ত করেছে। ২০০২ সালের ৩০ অক্টোবর টাটা আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানির ৭১০৫ বর্গফুট জমির ওপরে তৈরি ৫৩৪৮ বর্গফুটের ওই বাড়িটি তেজস্বীর কোম্পানি কিনেছে বলে দেখানো হয়। ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত বিহারে ওই বাড়িটি টাটা কোম্পানির দফতর তথা অতিথিশালা ছিল।
সুশীল মোদীর দাবি, টাটা কোম্পানির অনেক ‘উপকার’ করেছে লালুপ্রসাদ এবং রাবড়ীদেবীর রাজ্য সরকার। লালুপ্রসাদের বড় মেয়ে মিশা ভারতীর ভর্তিও জামশেদপুরে টাটা মেডিক্যাল কলেজে টাটা কোম্পানির কোটায় হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ১৯৯৮ সালে লালুপ্রসাদের আরেক মেয়ে রোহিনী এবং প্রাক্তন বিধায়ক আনোয়ার আহমেদের মেয়ের মেডিক্যালে ভর্তিও টাটা কোম্পানির কোটায় হয়েছিল। একই ভাবে লালুপ্রসাদের ঘনিষ্ঠ আলকাতরা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ইলিয়াস হোসেনের মেয়ে আসমা খাতুনের ভর্তিও টাটা মেডিক্যাল কলেজে ওই কোটাতেই হয়েছিল বলে বিজেপি নেতার দাবি।
রাজস্ব দফতরের তথ্য তুলে ধরে সুশীল মোদী বলেন, ‘‘২০০২ সালে ওই জমি যখন কেনা হয়েছে দেখানো হচ্ছে তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন রাবড়ীদেবী। ওই বাড়িটি কেনার জন্য ফায়ারগ্রো আয়রণ অ্যান্ড স্টিল কোম্পানি তৈরি করা হয়েছিল। টাটা কোম্পানি কেন একটি বেনামী কোম্পানিকে কার্যত জলের দরে কেন ওই বাড়িটি বিক্রি করলেন তা তদন্তের বিষয়। ঝাড়খণ্ড নতুন রাজ্য তৈরি হওয়ার পরে এই সম্পত্তি বিক্রিই বা কেন করা হল! আর দশ বছর পরে এই বেনামী কোম্পানির মালিকইবা কেমন করে লালুপ্রসাদের পরিবার হল তার জবাব দিতে হবে।’’ আরজেডি কোষাধ্যক্ষ প্রেমচন্দ্র গুপ্তা এই বেনামী কোম্পানি তৈরিতে জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ উপ-মুখ্যমন্ত্রীর। যদিও আরজেডির তরফে এ নিয়ে কেউ কোনও কথা বলতে রাজি হননি। তেজস্বী বলেন, ‘‘সময় আসলে জবাব দেব।’’ টাটা কোম্পানির ঝাড়খণ্ডের কর্তাদের ফোনে পাওয়া যায়নি।