সোমনাথ ভারতী। ফাইল-চিত্র।
হাজারো চেষ্টা করেও, গ্রেফতারি এড়াতে পারলেন না সোমনাথ ভারতী।
সুপ্রিম কোর্ট সোমবার নির্দেশ দিয়েছে, আজ, সন্ধ্যা ছ’টার মধ্যে পুলিশের হাতে ধরা দিতেই হবে দিল্লির প্রাক্তন আইনমন্ত্রীকে। তার পর হাজির হতে হবে আদালতে। আদালতের এই নির্দেশের পরেই দিল্লি থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
দিল্লি হাইকোর্টে তাঁর আর্জি খারিজ হয়ে যাওয়ায় সোমনাথ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। দিল্লির প্রাক্তন আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাঁকে খুনের চেষ্টার মামলা করেছেন তাঁর স্ত্রী লিপিকা মিত্র। তাঁর অভিযোগ, তিনি যখন আসন্নপ্রসবা ছিলেন, তখন তাঁকে সোমনাথ তাঁর পোষা কুকুরের কামড় খাইয়ে খুন করতে চেয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট আজ সোমনাথকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে বলেছে, ‘আপনি যদি দায়িত্ববান নাগরিক হন, তা হলে পালিয়ে বেড়াবেন না।’ দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল তাঁর টুইটে সোমনাথকে আর দেরি না-করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বলেছিলেন। গ্রেফতারি এড়ানোর জন্য পুলিশের চোখে ধুলো দিতে দু’সপ্তাহ ধরে কার্যত, পালিয়েই বেড়াচ্ছেন সোমনাথ। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, একেবারে ‘দাগী আসামি’র মতো এখানে-ওখানে গা-ঢাকা দিয়ে বেড়াচ্ছেন সোমনাথ। আজ এখানে থাকছেন তো কাল ওখানে। গত দু’ সপ্তাহে তাঁকে আগ্রা ও হরিয়ানার নানা জায়গায় দেখা গিয়েছে বলে পুলিশ খবর পেয়েছে। কিন্তু, ধরা যায়নি। নিজেকে আড়াল করতে সোমনাথ কখনও দাড়ি রাখছেন, কখনও রাখছেন না। বদলে চলেছেন তাঁর মোবাইলের ‘সিম-কার্ড’-ও। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে সোমনাথ টাকা দিয়ে দাগী আসামিদের কাছ থেকেও সাহায্য নিয়েছেন।