সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: পিটিআই
আফস্পা কতটা গণতান্ত্রিক, বারবার উঠে এসেছে এই প্রশ্ন। আফস্পা-র নামে ভুয়ো সংঘর্ষের মাধ্যমে বহু নিরীহ যুবক-যুবতীকে মেরে ফেলার অভিযোগ বারবার উঠেছে সেনার বিরুদ্ধে। দায়ের হয়েছে মামলা। সেই মামলাকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন ৩০০ জন সেনা কর্মী। ২০ অগস্ট সেই মামলায় আবেদনকারীদের বক্তব্য শোনা হবে, বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
মুখ্য বিচারপতি দীপক মিশ্র ও বিচারপতি এ এম খানউইলকরের বেঞ্চের কাছে আইনজীবী ঐশ্বর্যা ভাটি সেনা কর্মীদের তরফে আবেদন জানান। আবেদনে বলা হয়েছে, অশান্ত এলাকায় নিজেদের দায়িত্ব পালনের কারণে সেনা অফিসারদের মামলার সম্মুখীন হতে হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনীর অবমাননা করা হয়েছে এই মামলায়।
আরও পড়ুন: তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বিজেপির হারই দেখছে সমীক্ষা
উত্তর-পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অংশ এবং জম্মু-কাশ্মীরেও সেনার আচরণ বদলায়নি বলে বারবার সরব হয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি। সামরিক বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন বা ‘আফস্পা’-র বিরুদ্ধে সরব হন ইরম শর্মিলা চানু। ১৬ বছর তিনি অনশন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: দিল্লির রাস্তায় আক্রান্ত উমর, চলল গুলিও
মণিপুরে ভুয়ো সংঘর্ষে ১৫২৮টি হত্যার ঘটনাকে একত্র করে ‘হিউম্যান রাইটস অ্যালার্ট’ সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল। সেই সংঘর্ষের ঘটনার মধ্যে থেকে বেছে নিয়ে প্রথমে ৯৫টি ঘটনার তদন্ত করে চার্জশিট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু এ বছরের জুলাইয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে সরকার যে তালিকা পেশ করেছে তাতে রয়েছে ৪১টি ঘটনার কথা। এর পরই সেনা অফিসাররা আদালতের দ্বারস্থ হন।