আদানি নিয়ে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে ‘ষড়যন্ত্র’ হয়েছে! তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা। ফাইল চিত্র।
আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার কারচুপি এবং আর্থিক তছরুপের অভিযোগ এনেছিল আমেরিকার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ। কিন্তু সেই অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই এবং এর পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে, এই অভিযোগে সরব হন আইনজীবীদের একাংশ। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট নিয়ে শীর্ষ আদালতের নজরদারিতে তদন্ত করার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন আইনজীবী এমএল শর্মা এবং বিশাল তিওয়ারি। এ বিষয়ে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। আগামী শুক্রবার এই দু’টি মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
জনস্বার্থ মামলার একটিতে হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বলা হয়েছে, দেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্যই এমন রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এর ফলে দেশের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। মামলাটিতে আদালতের কাছে যে হলফনামা পেশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, গৌতম আদানি এবং তাঁর সংস্থা কী ভাবে শেয়ার বাজারে কারচুপি করেছেন, তা নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির কাছে তথ্যপ্রমাণ সহকারে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন হিন্ডেনবার্গের প্রতিষ্ঠাতা নাথান অ্যান্ডারসন।
হিন্ডেনবার্গের এই রিপোর্ট নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতেও। আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি তুলেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। দফায় দফায় মুলতুবি হয়েছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। বিরোধীরা যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে কিংবা সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে আদানিকাণ্ডের তদন্তের দাবি তুলেছেন। মঙ্গলবার সংসদে প্রায় এক ঘণ্টার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে আদানির একটি ছবি তুলে ধরে দু’জনের মধ্যে কী সম্পর্ক রয়েছে, তা সরকারের কাছে জানতে চান। মোদীর আমলে আদানির বিদ্যুৎগতিতে উত্থান হল কী ভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে কংগ্রেসও। জবাবি ভাষণে মোদী কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের আক্রমণ করলেও আদানি প্রসঙ্গে নীরবই ছিলেন।