কিশোর অপরাধীদের জন্য কঠোর আইন চায় শীর্ষ আদালত

নাবালক অপরাধীদের জন্য আইন আরও কড়া হওয়া উচিত বলে মঙ্গলবার মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। দু’দিন আগেই ধর্ষণে অভিযুক্ত নাবালকদের বিশেষ আইনে নয়, বরং সাধারণ ফৌজদারি আদালতে বিচারের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু উন্নয়নমন্ত্রী মেনকা গাঁধীও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পর এ নিয়ে শীর্ষ আদালতের সরব হওয়া তাই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৪ ০২:৪৪
Share:

নাবালক অপরাধীদের জন্য আইন আরও কড়া হওয়া উচিত বলে মঙ্গলবার মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। দু’দিন আগেই ধর্ষণে অভিযুক্ত নাবালকদের বিশেষ আইনে নয়, বরং সাধারণ ফৌজদারি আদালতে বিচারের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু উন্নয়নমন্ত্রী মেনকা গাঁধীও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পর এ নিয়ে শীর্ষ আদালতের সরব হওয়া তাই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে।

Advertisement

“সরকারি চাকরির মতো অপরাধের আবার বয়সসীমা হয় নাকি” এ দিন প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। কিশোর অপরাধীর আইনি সংজ্ঞা নিয়ে বিতর্ক অবশ্য পুরনো। নির্ভয়া গণধর্ষণে বাকিদের ফাঁসির সাজা হলেও নাবালক অপরাধীকে মাত্র তিন বছরের জন্য সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড। অথচ ২০১২-র ১৬ ডিসেম্বর রাতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের সময় সব চেয়ে নৃশংস ছিল ওই কিশোর-ই। এর পরই দেশ জুড়ে দাবি ওঠে, ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধে কেবল বয়সের বিচারে লঘু শাস্তি দেওয়া চলবে না।

নির্ভয়া কাণ্ডের পর ধর্ষণ সংক্রান্ত আইনে রদবদলের জন্য প্রাক্তন বিচারপতি বর্মার নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করেছিল ইউপিএ সরকার। তাদের সুপারিশ মেনে ধর্ষণ-আইনে কড়াকড়ি করা হলেও বদলায়নি কিশোর অপরাধীদের বয়সসীমা। এই বছরের গোড়ায় এক সময় সুপ্রিম কোর্টই জানিয়ে দিয়েছিল, নাবালকদের আইনি সংজ্ঞা বদলানোর প্রশ্ন উঠছেই না।

Advertisement

কেন্দ্রে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন মেনকা গাঁধী। রবিবারই সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “পুলিশ রেকর্ডে দেখা যাচ্ছে, ধর্ষণের মতো অপরাধের ৫০%ই করে বছর ষোলোর কিশোররা। নাবালকদের জন্য বিশেষ আইনের কথা তারা জানে। এদের যদি সাধারণ আইনের আওতায় আনা যায়, তা হলেই তাদের মধ্যে ভয় কাজ করবে।” তাঁরই সুরে এ বার কিশোরদের বয়সের কারণে আইনি রক্ষাকবচের বিরুদ্ধে সরব হল শীর্ষ আদালত। প্রয়োজনে আইন বদলানোর কথাও সরকারকে ভেবে দেখতে বলেছেন বিচারপতিরা।

ঘটনাচক্রে নাবালক অপরাধীদের বয়স নিয়ে বিতর্কের দিনই মুম্বইয়ের শক্তি মিলস গণধর্ষণে দুই কিশোরকে দোষী সাব্যস্ত করল জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড। আচার-ব্যহারের পাঠ নিতে তাদের নাসিকের এক সংশোধনাগারে তিন বছর কাটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২২ বছরের চিত্র সাংবাদিককে ধর্ষণে ধরা পড়েছিল এদের মধ্যে এক জন। ওই একই মিলে আঠারো বছরের এক টেলিফোন অপারেটর তরুণীকে ধর্ষণে দোষী প্রমাণিত হয়েছে অন্য জন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement