National news

সেক্স ভিডিয়ো কাণ্ড: ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলায় স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

সাক্ষীদের বাঘেল হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ জানিয়ে সিবিআই এই মামলা ছত্তীসগঢ় থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জনায়। সে কারণেই এই স্থগিতাদেশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভোপাল শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৯ ১৪:৪০
Share:

ভূপেশ বাঘেল। -ফাইল চিত্র।

সেক্স ভিডিয়ো কাণ্ডে অভিযুক্ত ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় স্থগিতাদেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। সোমবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি এসএ বোবদে এবং বিচারপতি নাজিরের বেঞ্চ স্থগিতাদেশ জারি করে। সাক্ষীদের বাঘেল হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ জানিয়ে সিবিআই এই মামলা ছত্তীসগঢ় থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জনায়। সে কারণেই এই স্থগিতাদেশ।

Advertisement

২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী বাঘেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল সিবিআই। বাঘেল তখন ছত্তীসগঢ়ের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি তত্কালীন মন্ত্রী রাজেশ মুনাতের নকল অশ্লীল ভিডিয়ো দেখিয়ে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করছেন। তাঁর মানহানির চেষ্টা করছেন।

প্রথমে বাঘেলের আগে এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বিনোদ বর্মা নামে এক সাংবাদিককে। ওই সাংবাদিক এই অশ্লীল ভিডিয়ো দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে তদানীন্তন মন্ত্রী রাজেশ মুনাতের থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছিলেন, অভিযোগ ছিল এমনই। বিনোদ আবার তত্কালীন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেশ বাঘেলের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: বন্ধুর মেয়ের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, হাতেনাতে ধরা পড়ে খুন বীরভূমের সিপিএম নেতা!

বিনোদের গ্রেফতারের পর বাঘেল দাবি করেন, তাঁর কাছেও মন্ত্রী রাজেশ মুনাতের যৌন কেলেঙ্কারির ভিডিও-র একটা কপি রয়েছে। এর পরই তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন রাজেশ।

বাঘেলকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল, কিন্তু পুলিশ আদালতে দুমাসের মধ্যে চার্জশিট জমা করতে না পারায় ওই সময় জামিন পেয়ে যান বাঘেল। পরে ছত্তীসগঢ়ের তদানীন্তন বিজেপি সরকারের সুপারিশে মামলাটি যায় সিবিআইয়ের হাতে।

এর মধ্যে সরকার বদল হয়েছে চত্তীসগঢ়ে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। তদানীন্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। সিবিআইয়ের দাবি, ক্ষমতা ব্যবহার করে এই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষীদের ভয় দেখাচ্ছেন বাঘেল, হুমকি দিচ্ছেন। সে কারণেই ছত্তীসগঢ় থেকে অন্যত্র এই মামলা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে সিবিআইয়ের আবেদন করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement