সুপ্রিম কোর্ট।
নতুন সিবিআই কর্তা নিয়োগে দেরি কেন? কেন্দ্রের কাছে আরও এক বার জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে কেন্দ্রকে তার প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। যদিও প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য কেন্দ্রকে ২ সপ্তাহ সময় কেন দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ।
বিরোধী পক্ষের আইনজীবী ভূষণের বক্তব্য, অধিকর্তা নিয়োগে দেরি হওয়ায় এরই মধ্যে যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে সিবিআইয়ের কাজকর্মে। সুপ্রিম কোর্ট কি শুনানির দিন এক সপ্তাহ এগিয়ে আনতে পারে না! জবাবে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার জানিয়েছে, পরের সপ্তাহে এই বেঞ্চ অন্য বিষয়ে ব্যস্ত থাকবে বলেই এই সিদ্ধান্ত। যদিও বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, এই সময় আদতে কেন্দ্রেরই সুবিধা করে দিল।
সিবিআই অধিকর্তা নিয়োগে কেন্দ্রের গাফিলতির অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, এনজিও কমন কজ। অভিযোগ ছিল, সময়ে সিবিআই অধিকর্তা নিয়োগ না করে দিল্লির স্পেশ্যাল পুলিশ এস্টাব্লিশমেন্ট আইনের বিধি ভঙ্গ করেছে কেন্দ্র।
এর আগেও গত ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রকে একই প্রশ্ন করেছিল সিবিআই আদালত। তার পর দিন, ২ ফেব্রুয়ারি সিবিআই অধিকর্তা হিসেবে মেয়াদ ফুরনোর কথা ছিল ঋষি কুমার শুক্লর। নিয়ম অনুযায়ী তার আগেই কেন্দ্রের পরবর্তী অধিকর্তা নিয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না করে প্রবীণ সিংহকে অন্তর্বর্তীকালীন সিবিআই অধিকর্তা হিসেবে নিয়োগ করে কেন্দ্র।
এ ব্যাপারে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আইনজীবী ভূষণ জানতে চেয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট এক সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে জবাব দিতে না বলুক, অন্তত সিবিআই অধিকর্তা নিয়োগের নির্বাচন কমিটির বৈঠক ডাকার নির্দেশ দিক। জবাবে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘‘আমরা কেন্দ্রকে নোটিস পাঠিয়েছি। কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া শুনেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’