দূষণ কিছুটা কমলেও এখনও ধোঁয়াশার চাদরে মোড়া দিল্লি। বৃহস্পতিবার সকালে। ছবি: পিটিআই।
আট দিন পরে দিল্লিতে বায়ুদূষণের মাত্রা কিছুটা কমল। বৃহস্পতিবার দেশের রাজধানী শহর এবং সংলগ্ন এলাকায় সামগ্রিক ভাবে বাতাসের গুণগত সূচকের মান (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই) ৩৭৯। গত কয়েক দিনে দিল্লিতে এই মান ৪৫০-এর কাঁটা পেরিয়ে গিয়েছিল। বুধবার অবশ্য তা খানিক কমে ৪২২ হয়। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, বাতাসের গুণগত মান যদি শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে তা হলে তা ‘ভাল’ পর্যায়ের মধ্যে পড়ে। ৫১-১০০ সন্তোষজনক, ১০১-২০০ সামান্য খারাপ, ২০১-৩০০ খারাপ, ৩০১-৪০০ খুব খারাপ, ৪০১-৫০০ অতি ভয়ানক। অর্থাৎ, ‘অতি ভয়ানক’ থেকে কমে দিল্লির দূষণের মান আপাতত ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে রয়েছে।
যদিও দিল্লির কোনও কোনও জায়গায় দূষণের মান এখনও উদ্বেগ বৃদ্ধি করছে। সিপিসিবি-র পরিসংখ্যান বলছে, বৃহস্পতিবার সকালেও জাহাঙ্গিরপুরী, ওয়াজ়িরপুরের মতো জায়গায় বাতাসের গুণগত সূচকের মান ৪৩৭ রয়েছে। দূষণের নিরিখে খুব পিছিয়ে নেই বাওয়ানা, অশোক বিহারও। সেখানেও এই মান ৪১৫-র উপরে রয়েছে। তবে দূষণ খানিক কমলেও এখনও ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা দিল্লি। দৃশ্যমানতা কম থাকার কারণে অন্তত ৯৭টি বিমান দেরিতে চলছে বলে জানা গিয়েছে। তিনটি বিমান বাতিল করতে হয়েছে।
গত কয়েক দিন ধরেই দিল্লির বাতাসের গুণমান সূচক উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। তার পরেই দিল্লির দূষণ মোকাবিলায় একাধিক কড়া নির্দেশ জারি করা হয়। চালু করা হয় দূষণ নিয়ন্ত্রণের চতুর্থ স্তরের (সর্বোচ্চ) পদক্ষেপ (গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান ৪ বা জিআরএপি ৪)। সুপ্রিম কোর্ট সোমবারই নির্দেশ দিয়েছে, আদালতকে না জানিয়ে চতুর্থ স্তরের নিয়ন্ত্রণবিধি শিথিল করা যাবে না। দূষণ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দিল্লির সমস্ত স্কুলে অনলাইন মাধ্যমে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। এমনকি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলিতেও অনলাইন পঠনপাঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনলাইন ক্লাস হবে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়েও। শুধু দিল্লিতেই নয়, গুরুগ্রাম এবং নয়ডার স্কুলগুলিতেও অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে। দূষণ রুখতে কৃত্রিম বৃষ্টি ঘটাতে চেয়ে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই।