সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
জামিনই নিয়ম, জেল ব্যতিক্রম, এমনকি আর্থিক দুর্নীতির মামলাতেও— এমনটাই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। আর্থিক অপরাধ দমন আইনের মামলায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সহকারী হিসাবে অভিযুক্ত প্রেম প্রকাশের জামিনের আবেদন আজ মঞ্জুর করে এ কথা বলেছে বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ।
গত কাল বিআরএস নেত্রী কে কবিতাকে এবং আজ প্রেম প্রকাশকে জামিন দেওয়ার সময়ে বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চের রায়কে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। কারণ, বিরোধী দলগুলির দাবি, তাঁদের কোনও নেতা-নেত্রীকে ইডি যখন গ্রেফতার করে, তখন তাঁদের পক্ষে জামিন পাওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ, আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইনের ৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী, গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তকে জামিন পেতে হলে তাঁকেই আপাত ভাবে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি এই অপরাধ করেননি এবং জামিন পেলেও তিনি এই অপরাধ করবেন না। সিবিআই বা পুলিশ গ্রেফতার করলে জামিন পাওয়া এতটা কঠিন হয় না কারণ সে ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে দোষী প্রমাণ করার দায় তদন্তকারীর। কিন্তু ইডি-র এ ধরনের কোনও দায় নেই।
অতীতে বিজয় মদনলাল চৌধুরি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ইডিকে এই ক্ষমতা দিয়েছিল। কিন্তু গত কাল ও আজ সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের রায় কার্যত অন্য কথাই বলল বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। নিজস্ব প্রতিবেদন