ফাইল ছবি।
তফসিলি জাতি ও জনজাতি নিপীড়ন প্রতিরোধ আইনটিকে লঘু করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়। যার ফলে এই স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে দেশে সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভ ও অশান্তির পরিবেশ। শীর্ষ আদালতে এ কথা জানিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সরকারের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, দলিত-আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের ফলে দেশের বিরাট ক্ষতি হয়েছে। কেন্দ্রের বক্তব্য, শীর্ষ আদালত দলিত নিপীড়ন প্রতিরোধ আইনটির ফাঁকফোকরগুলি পূরণ করেনি। বরং আইনটির সংশোধিত রূপকেই সামনে নিয়ে এসেছে। অথচ আইন প্রণয়ন করা কোর্টের এক্তিয়ারের মধ্যে নেই।
২০ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট তফসিলি জাতি উপজাতি নিপীড়ন প্রতিরোধ আইনে অভিযুক্তদের জন্য কয়েকটি রক্ষাকবচের ব্যবস্থা করে। কোর্ট বলে, অনেক সময়েই আইনটির অপব্যবহার হয়। তাই সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে এই আইন ভাঙার অভিযোগ এলেই তাঁদের গ্রেফতার করা যাবে না। নিয়োগ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। সাধারণ নাগরিকের ক্ষেত্রে অভিযোগ এলে লাগবে এসএসপি-র অনুমতি। গ্রেফতারির আগে প্রাথমিক তদন্তের কথাও বলে কোর্ট।
আইনটি লঘু করার অভিযোগ এনে দলিত সংগঠনগুলি ‘ভারত বন্ধ’ ডাকার হুঁশিয়ারি দিলে মোদী সরকার রায় পুনর্বিবেচনার জন্য কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু তাতেও বন্ধ থামেনি। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ প্রাণ হারান অনেকে। পরে যদিও শীর্ষ আদালত জানায়, আইন তারা লঘু করেননি। বরং আইনের অপব্যবহার থেকে নিরীহদের সুরক্ষার বন্দোবস্ত করেছেন। দলিত-রায় স্থগিত করতে কোর্ট রাজি না হওয়ায় চাপে পড়ে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতেই বেণুগোপাল সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। দলিত-আইন মামলার রায়ে যে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করতে রায় পুনর্বিবেচনা জন্য আর্জি জানান তিনি। তবে বিভিন্ন দলিত সংগঠনের নেতারা এ ব্যাপারে অর্ডিন্যান্স আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছেন।