—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-র চূড়ান্ত তালিকা ঘিরে বিতর্কের আইনি নিরসনের আগেই অসমের ১৪টি লোকসভা এবং ১২৬টি বিধানসভা আসন পুনর্বিন্যাসের (ডিলিমিটেশন) কাজ চলবে। সোমবার এ কথা জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে চালু করা ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে শীর্ষ আদালতে যে আবেদন জানানো হয়েছিল, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ সোমবার তা খারিজ করে দিয়েছে।
তবে ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮এ ধারা অনুযায়ী অসমের ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়ার ‘সাংবিধানিক বৈধতা’ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, গত ২০ জুন মাস অসমে আসন পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সে দিন কমিশনের তরফে এ সংক্রান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১১ জুলাই পর্যন্ত ওই খসড়া তালিকা সম্পর্কে ‘পরামর্শ এবং আপত্তি’গুলি নথিভুক্তও করেছে নির্বাচন কমিশন।
অসমের ন’টি বিরোধী দল— কংগ্রেস, সিপিএম, সিপিআই, তৃণমূল, এনসিপি, আরজেডি, রাইজর দল, অসম জাতীয় পরিষদ এবং আঞ্চলিক গণমোর্চার তরফে দাবি তোলা হয়েছিল, এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হওয়ার আগে আসন পুনর্বিন্যাস না করতে। তাদের অভিযোগ ছিল, বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই কমিশন আসন পুনর্বিন্যাসে তড়িঘড়ি করছে। কিন্তু কমিশন সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি না-মানায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ন’টি বিরোধী দল।
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে ২০০১ সালের জনসুমারির ভিত্তিতে এই আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া তালিকা তৈরি হয়েছে। মোট লোকসভা এবং বিধানসভার আসনের সংখ্যা একই থাকলেও কেন্দ্রগুলির সীমানা পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। লোকসভার ১৪টি আসনের মধ্যে তফসিলি জাতির প্রার্থীদের জন্য একটি এবং তফসিলি জনজাতির প্রার্থীদের জন্য দু’টি আসন সংরক্ষিত। বিধানসভার ১২৬টি আসনের মধ্যে তফসিলি জাতি এবং তফসিলি জনজাতির প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা যথাক্রমে নয় এবং ১৯।