সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত প্যানেলে দেশের প্রধান বিচারপতিকে রাখা হয়নি কেন্দ্রের নতুন আইনে। সেই আইনে স্থগিতাদেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তবে শুক্রবার ওই আইনে স্থগিতাদেশ দিল না শীর্ষ আদালত। তবে আবেদনের প্রেক্ষিতে নোটিস দিয়ে এই বিষয়ে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছে। এপ্রিল মাসের মধ্যেই কেন্দ্রকে এই বিষয়ে উত্তর দিতে হবে বলে জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। কংগ্রেস নেতা জয়া ঠাকুর কেন্দ্রের নয়া আইনে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। শুক্রবার জয়ার আইনজীবী বিকাশ সিংহকে আবেদনপত্রের একটি কপি কেন্দ্রের কৌঁসুলিকে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। স্থগিতাদেশের পক্ষে সওয়াল করে মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, “নতুন আইন সংবিধানের ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির পরিপন্থী।”
কেন্দ্রের নতুন আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য নির্বাচন কমিশনারদের বাছাই করতে যে তিন সদস্যের প্যানেল আছে, তার সদস্য হবেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা মনোনীত এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই কমিটি যে নাম কিংবা নামগুলি প্রস্তাব করবে, তাঁকে বা তাঁদের নিয়োগ করবেন দেশের রাষ্ট্রপতি। বিরোধী দলগুলি অবশ্য গোড়া থেকেই এই আইনের বিরোধিতা করে জানিয়েছে, প্যানেলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য কেন্দ্রের প্রতিনিধি হওয়ায় বাছাই প্রক্রিয়াটি একমাত্রিক হয়ে পড়বে, নিরপেক্ষ কোনও সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে না।
নতুন আইন প্রণয়নের আগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে একটি রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য দুই নির্বাচন কমিশনারকে তিন সদস্যের একটি কমিটি বেছে নেবে। কমিটিতে থাকবেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা, প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের প্রধান বিচারপতি। তবে একই সঙ্গে ওই রায়ে বলা হয়েছিল, নতুন আইন প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত আগের আইন বলবৎ থাকবে। সুপ্রিম কোর্ট তার আগের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাই তিন সদস্যের কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত।