সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, মথুরা-কাণ্ডে হাইকোর্টে যেতে নির্দেশ

মথুরা কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতে নয়, এ নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এই মত দিয়েছে বিচারপতি পি সি ঘোষ এবং বিচারপতি অমিতাভ রায়ের অবকাশকালীন বেঞ্চ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৬ ১৭:৫৭
Share:

মথুরা কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতে নয়, এ নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এই মত দিয়েছে বিচারপতি পি সি ঘোষ এবং বিচারপতি অমিতাভ রায়ের অবকাশকালীন বেঞ্চ। অন্য দিকে, এই ঘটনায় তদন্তে এক সদস্যের বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করল উত্তরপ্রদেশ সরকার। এত দিন ঘটনার তদন্ত করছিল রাজ্য পুলিশ। এ দিন বিকেলে রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়, এলাহাবাদ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ইমতিয়াজ মোর্তাজা ঘটনার তদন্ত করবেন।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশের মথুরার জওহরবাগে ২০১৪ সাল থেকে বেআইনি ভাবে সরকারি জমি দখল করে রয়েছে স্বাধীন ভারত সুভাষ সেনা নামে এক সংগঠন। দখলদারি সরাতে ওই সংগঠনের ধর্মগুরুর নেতৃত্বে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে পুলিশকর্মীদের। প্রথমে লাঠি-কুড়ুল-তলোয়ার নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেও পরে পুলিশকে লক্ষ করে গুলি চালানো হয়। ২৭০ একর জায়গা জুড়ে থাকা পার্কের এক কোণ থেকে গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটানোও হয় বলে দাবি পুলিশের। ঘটনাস্থলে মারা যান শহরের পুলিশ সুপার মুকুল দ্বিবেদী এবং স্টেশন অফিসার সন্তোষ যাদব-সহ ২৯ জন। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের প্রস্তাব দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। বিরোধীদের অভিযোগ, যাদব ভোটব্যাঙ্কের ফয়দা তুলতে ওই ধর্মগুরুকে পরোক্ষে মদত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের কাকা তথা মুলায়ম সিংহের ভাই শিবপাল যাদব। কিন্তু, খণ্ডযুদ্ধ নিয়ে গত কাল কেন্দ্রকে পাঠানো এক রিপোর্টে পুলিশের ঘাড়েই সমস্ত দায় চাপান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা বেআইনি অস্ত্রভাণ্ডারের পিছনে আসলে মাওবাদীদের হাত রয়েছে, এমন দাবিও করেন তিনি।

মথুরার এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন আইনজীবী তথা দিল্লি বিজেপি-র মুখপাত্র অশ্বিনী উপাধ্যায়। এ দিন সেই আবেদনের শুনানিতে অশ্বিনীর আইনজীবী দাবি করেন, মথুরা-কাণ্ডের সমস্ত প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে। সমাজবাদী পার্টির সরকার এই ঘটনার তদন্তে যথেষ্ট উদ্যোগী নয় বলেও আবেদনকারীর তরফে জানানো হয়। এমনকী, তদন্তে নেমে রাজ্য পুলিশের গা-ছাড়া মনোভাবের কথাও উল্লেখ করা হয়।

Advertisement

তবে এই দাবি উড়িয়ে বেঞ্চ জানায়, তদন্তে রাজ্য পুলিশের গাফিলতির কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি আবেদনকারী। ফলে প্রমাণাভাবে এ নিয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করতে পারে না সর্বোচ্চ আদালত। শুধু তাই নয়, আবেদন তুলে নেওয়ার কথা বলে তা খারিজও করে দেয় বেঞ্চ।


আরও পড়ুন

জবরদখল ঘিরে অগ্নিগর্ভ মথুরা, পুলিশ সুপার খুন, হত আরও ২৩

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement